অনলাইন ডেস্ক : অক্টোপাসরা এই পৃথিবীর বাসিন্দা নয়। নতুন গবেষণায় উঠে আসা তত্ত্ব দেখে বিস্মিত জীববিজ্ঞানীরা। আর শুধু অক্টোপাসই নয়, এই সেফালপড প্রজাতির অন্য জীবরাও যেমন-কাট্ল ফিশ, স্কুইড, এগুলিও হয়ত ভিন গ্রহের জীব।
কারণ হিসেবে গবেষকরা জানাচ্ছেন, সেফালপড প্রজাতির সব জীবই নিজেদের শরীরে নিজেরাই বদল আনতে সক্ষম। এই রহস্যই ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। কারণ, বিবর্তনের তত্ত্বের সঙ্গে এর কোনও মিল নেই। এটা অত্যাধুনিক জৈব ক্ষমতা, যা সম্ভবত ভিন গ্রহ থেকে এসেছে।
বিজ্ঞানীরা নতুন এক গবেষণায় দেখেছেন, অক্টোপাস, স্কুইড বা কাট্ল ফিশ নিয়মিত তাদের আরএনএ বদল করে। এই কাজটাই তাদের প্রাণী জগতের অন্যদের থেকে আলাদা করছে। এই আরএনএ-তে আছে জেনেটিক কোড। ডিএনএ-এর অণু ডবল স্ট্যান্ডার্ড। আরএনএ-এর অণু সিঙ্গল স্ট্যান্ডার্ড। প্রোটিন উৎপাদন করে শরীরে জেনেটিক তত্ত্বের যোগান দেয় আইএনএ।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, প্রায় আড়াইশো মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর তৈরির সময় অনেক কিছু মহাকাশ থেকে ছিটকে সমুদ্রে পড়েছিল। সেই সব বস্তুর কিছু ছিল জীবন্ত তবে জমাট বাঁধা অবস্থায়। সেভাবেই হয়ত অক্টোপাসের ডিমও সমুদ্রে পড়েছিল। পরে সমুদ্রের তাপমাত্রায় তা জীবন পায়।
যদিও এখনও এই তত্ত্বে সিলমোহর দেননি বিজ্ঞানীরা। এখনও আরও কিছু গবেষণার পরই সিদ্ধান্তে আসবেন বলে জানিয়েছেন তারা।