নিজস্ব প্রতিবেদক : শান্তির মধ্যে অস্থিরতা তৈরির জন্য একটা মহল সক্রিয়। পাহাড়ে আজও রক্তপাত হলো। দেশে এ বছর অনেক অঘটন ঘটানোর চক্রান্ত চলছে। কারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন যখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়, তখন চোরাগলি দিয়ে ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ বেড়ে যায়। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমীতে খেলাঘর কেন্দ্রীয় আসরের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসেনি বলে গণতন্ত্র থেমে থাকবে? নির্বাচনী ট্রেন স্টেশন ছাড়বে না? সংবিধান ও গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করেনি, এবারও করবে না। নির্বাচনে না আসলে না আসুন।
কাদের বলেন, নির্বাচন বর্জন করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে। বর্জন করা আপনার ইচ্ছা, কিন্তু ওই সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি করতে পারবেন না। জনগণ প্রতিরোধ করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এটা অনেকের ঈর্ষার কারণ। সোজা পথে পারে না, বাঁকা পথে আসে। আলোতে পারে না, অন্ধকারের আশ্রয় নেয়, রক্তপাতের আশ্রয় নেয়, ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে ডালপালা বিস্তারে যারা সহায়তা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে, সে অপশক্তি সক্রিয়। অপশক্তি সক্রিয় বলেই কোটা সংস্কার আন্দোলনে ভিসির বাড়িতে ৭১ এর নারকীয়তার পুনরাবৃত্তি হয়।
ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে কাদের বলেন, কমিটি করলে অভিযোগ তো আসবেই। আমাদের কাছেও অভিযোগ আসছে। মাথাব্যথা হলে তো মাথা কেটে ফেলা যায় না। সমাধানের চেষ্টা আছে।
তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে টাকা ছড়াছড়ি। সেখানে পুষ্পিত আদর্শের পতাকা ধারণ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর বড়ই দুর্দিন। এসব প্রতিষ্ঠানকে সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতার যে যাত্রা আমি শুরু করেছিলাম, সেটা সময়ের চাহিদা মেটাতে আজকে পারছে না। কিন্তু পারা উচিত ছিল। শিল্পীরা এত কম সম্মাননা পান, সংসার চলে না। যারা মূল্যবোধ নিয়ে এখনও যুদ্ধ করছে, তারাই বেশি কষ্টে আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে শেখ হাসিনা আছেন বলে বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে কাকের কোলাহলকে অতিক্রম করে কোকিলের কুহু ধ্বনি শোনা যায়।