নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে উখিয়া-টেকনাফ আসনে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকেও ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঈদকে সামনে রেখে আজ শনিবার সাভারের আশুলিয়ায় সড়কের উন্নয়ন কাজের পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বদির বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তার বেয়াই যেমন ছাড় পাননি, তেমন বদিসহ আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা অন্য দলের যারা যারাই জড়িত তাদের কেউই রেহাই পাবে না।
মন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযানকে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাগত জানিয়েছে। কেবল রাজনৈতিকভাবে মতলববাজরা এ অভিযানের সমালোচনা করছে। মাদকের সঙ্গে অস্ত্র, কালো টাকা সবই জড়িত। এই মাদক আগামী প্রজন্মকে ধবংস করছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এমন অসংখ্য অভিযানের উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা শক্তিশালী। অভিযান চলাকালে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গুলি করবে আর তারা কি তখন জুঁই ফুলের গান গাইবে?
ভারতে গিয়ে তিস্তার পানি বণ্টনসহ দুই দেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী করেছেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব কারা? যারা ভারতে গিয়ে লাল কার্পেটের সংবর্ধনা নিয়ে ঢাকায় ফিরে সাংবাদিকের বলেছিলো, গঙ্গার পানি নিয়ে কথা বলতে তো ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা ভুলে যাইনি। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা সম্প্রতি ভারতে গিয়েও এ ব্যাপারে কথা বলেছি।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আর প্রধানমন্ত্রী তো এবার দিল্লিও যাননি। গেছেন শান্তিনিকেতনে ভিন্ন কর্মসূচিতে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচ্যসূচি না থাকলেও তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্তে বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুর সঙ্গে যে তিস্তার প্রসঙ্গ আলোচনা হয়নি তাই বা কি করে জানেন ফখরুল সাহেব? আজকেও মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আছে। আমার বিশ্বাস চুক্তি যেকোনো সময়ে হতে পারে। চুক্তি হবেই। কারণ এই সফর থেকে বেশ অগ্রগতি হয়েছে।’