নিজস্ব প্রতিবেদক: সদ্য জারি হওয়া এমপিও নীতিমালা-২০১৮ মানতে রাজি নন নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। তারা বলছেন, আগে এমপিওভুক্তি করা হোক, তারপরে শর্ত।
জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে পাশে চলা নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের আমরণ অনশন কর্মসূচিতে শুক্রবার আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা এ দাবি জানান।
শিক্ষকদের দাবি, যে নীতিমালার আলোকে প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি ও পাঠদানের অনুমতি দেয়া হয়েছে একই নীতিমালার আলোকে এমপিওভুক্তি করা হোক।
তারা বলছেন, শর্ত মেনেই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন শিক্ষকরা। এখন এমপিওভুক্তির জন্য নতুন করে কোনো শর্ত মানতে রাজি নই। আগে বেতন পরে শর্ত। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন অব্যাহত থাকবে।
অনশন অংশ নেয়া রফিক নামে এক শিক্ষক বলেন, যথাযথ শর্ত মেনেই স্বীকৃতি মিলেছিল। অথচ বছরের পর বছর আমরা মেধা ও শ্রম দিয়ে যাচ্ছি বিনা বেতনে। আর সম্ভব নয়। আমরা এমপিও নীতিমালা-২০১৮ মানতে রাজি নই।
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় জানান, বর্তমান নীতিমালার অধীনে এমপিওভুক্তি হলে আমরা বঞ্চিতই থেকে যাব। কারণ নীতিমালায় পাসের হার, শিক্ষার্থীর সংখ্যাসহ অনেক শর্তই উল্লেখ আছে। যা অনেক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনেক পুরোনো এবং বোর্ডের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। এরপরও কেন শর্ত। আমরা নতুন করে শর্ত কিংবা কোনো নিয়মের ফাঁদে পড়তে চাই না। আগে তো আমাদের বেতন দিক। এরপর না আমাদের উপর শর্ত দেয়াটা মানা যায়।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ও অনশন শুরু করে আসছেন শিক্ষকরা। এরপর গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসানের আশ্বাসে তারা ঘরে ফিরে যান। নতুন অর্থবছরের বাজেটে এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট কোনো অর্থ বরাদ্দ না করায় ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন শিক্ষকরা। সবশেষ অনশন করছেন তারা।