Current Date:Nov 22, 2024

আন্দোলনের কনটেন্ট শিক্ষকরা শেয়ার দিলেই ব্যবস্থা : ডিপিই

নিউজ ডেস্ক

দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে অসত্য, বিভ্রান্তিকর, কুরুচিপূর্ণ ও বানোয়াট তথ্য-উপাত্ত পোস্ট বা শেয়ার না করতে প্রাথমিকের শিক্ষক-কর্মচারীদের বলা হয়েছে। এই আদেশের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।

বুধবার (৩১ জুলাই) অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. হামিদুল হকের সই করা এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা কোটা আন্দোলন সংক্রান্ত কনটেন্ট যা সরকারকে বিব্রত করে এমন সেগুলো ফেসবুকে শেয়ার দিলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি/গোষ্ঠী বিভিন্ন অসত্য, বিভ্রান্তকর, কুরুচিপূর্ণ ও বানোয়াট তথ্য উপাত্ত ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট/শেয়ার করে সরকারকে হেয়প্রতিপন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে লিপ্ত রয়েছেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দেশের অন্যতম বৃহৎ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এ অধিদপ্তরের আওতায় বর্তমানে প্রায় পাঁচ লাখের কাছাকাছি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সরকারের কোনো আদেশ, নিষেধ বা কার্যক্রম সর্ম্পকে সমালোচনা করা বা সরকারি কোনো কার্যক্রম বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক পোস্ট/শেয়ার করা ‘সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা-১৯৭৯’ এর পরিপন্থি।

এতে আরো বলা হয়েছে, এর আগেও প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষকদের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) এ বর্ণিত বিধান অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক এবং ইতঃপূর্বে এ অধিদপ্তর থেকে বহুবার বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে সব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অবহিত করা হয়েছে।

Share