আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানের কাবুলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) ড্রোন হামলায় জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন। গত রোববার ওই হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার (১ আগস্ট) টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে জাওয়াহিরির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, জাওয়াহিরি মার্কিন নাগরিকদের ওপর হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতা চালিয়েছেন। এই সন্ত্রাসী নেতার মৃত্যু হয়েছে।
বাইডেন আরও বলেন যে তিনি কয়েক মাস ধরে পরিকল্পনার পর ৭১ বছর বয়সী আল-কায়দা নেতার জন্য ‘নির্ভুল অভিযান’ পরিচালনার চূড়ান্ত অনুমোদন দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, হামলার সময় আল–কায়েদার এই নেতা কাবুলে একটি বাড়ির ব্যালকনিতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ড্রোন থেকে তাকে লক্ষ্য করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এতে জাওয়াহিরির মৃত্যু হয়। ওই বাড়িতে তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। তবে হামলায় তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
২০১১ সালে পাকিস্তানে অভিযানে আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে আল-কায়েদার নতুন নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ওসামা বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন জাওয়াহিরি। ওসামা বিন লাদেন বেঁচে থাকা অবস্থায় জাওয়াহিরিকে আল-কায়েদার দ্বিতীয় প্রধান হিসেবে গণ্য করা হতো।
শল্যচিকিৎসক ছিলেন জাওয়াহিরি। তাকে আল-কায়েদার তাত্ত্বিক গুরুও বলে মনে করা হয়। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার তিনিই ছিলেন মূল পরিকল্পনাকারী এমনটাও মনে করা হতো। তাকে ধরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পুরস্কারও ঘোষণা করে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলাকে আন্তর্জাতিক নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবানের এক মুখপাত্র।