নিজস্ব প্রতিবেদক : আসছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে মৌলিক কাচাঁমালসহ অন্যান্য আমদানি পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ অগ্রীম আয়কর প্রত্যাহার ও করপোরেট কর হার কমানোসহ একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পারমর্শক কমিটির ৩৯তম সভায় এসব প্রস্তাব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিতত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অনুষ্ঠানে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, আসছে বাজেটে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আয়কর, আমদানি শুল্ক ও মূসক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রস্তাব করছি। এর মধ্যে আয়করে প্রস্তাবগুলো হচ্ছে- ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা, করপোরেট কর ২ দশমকি ৫ শতাংশ কমিয়ে সকল কোম্পানির করের হার ২৫ শতাংশ এবং মূসক নিবন্ধনকারী তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ট্রেডিং কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ করা। ব্যক্তিগত করদাতার প্রদর্শিত নিট পরিসম্পদের ভিত্তিতে সারচার্জের শূন্য শতাংশের সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে ৩ কোটি টাকায় বৃদ্ধি করা।
অন্যদিকে আমদানি শুল্ক সম্পর্কিত প্রস্তাব যেমন- দেশীয় শিল্পের বিকাশ, বর্ধিত হারে উৎপাদন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান এবং ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে শুল্ক স্তর ১, ২, ৫, ১০ এবং ২৫ শতাংশের পবিবর্তে ১, ২, ৩, ১০, ২৫ শতাংশ নির্ধারণ প্রস্তাব করার পাশাপাশি দেশীয় শিল্পের মৌলিক কাঁচামাল এবং রসায়নিক জাতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশ শুল্ক স্তর নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। এছাড়াও স্টিল ও লোহা জাতীয় পণ্য, চিনি, সিমেন্ট ক্লিংকার, পোট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যসহ ৪৭টি পণ্যে স্পেসিফিক ডিউটি ফি রয়েছে তার অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেন এফবিসিসআই সভাপতি।