বিনোদন প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলতি বছরের ১১ মে সন্ধ্যায় এবারের সেরা তিন লাক্স সুপারস্টার এর নাম। দেশের কয়েক হাজার সুন্দরীকে পেছনে ফেলে বিজয়মুকুট ছিনিয়ে নিলেন মিম মানতাশা। প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় হলেন যথাক্রমে সারওয়াত আজাদ বৃষ্টি ও সামিয়া অথৈ। মুকুট জিতে নেওয়ার পরেই কাজের সুযোগ এসেছে তাদের। মিডিয়ায় নিজেদের প্রতিভাকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ মিলেছে। তারকা হবার পর প্রথম ঈদ করবেন এবার। কেমন যাবে সেই ঈদ, কী নিয়েছেন প্রস্তুতি? জানালেন তিন সুন্দরী-
মানতাশা
ছোটবেলা গ্রামের বাড়ি পাবনাতে ঈদ করতাম। অনেক মজা হতো। এখন আর গ্রামে আমাদের তেমন কেউ থাকেন না। তাই গ্রামে যাওয়া হয় না। গ্রামের বাড়িতে ঈদ করা হয় না প্রায় এক যুগ হয়ে গেলে। আম্মুকে বলেছি এবার ঈদের মধ্যে একদিনের জন্য হলেও ঘুরতে যাবো গ্রামে। কতো স্মৃতি পড়ে আছে ওখানে। ভীষণ মিস করি গ্রামকে। এখনও আগের মতোই ঈদের আমেজ শুরু হয়ে যায় ঈদের আগে থেকেই। কেনা কাটা করতে হয়। আমার দেশি পোশাক ভালো লাগে। আমাদের এখানে অনেক উন্নত মানের পোশাক পাওয়া যায়। ঈদের দিন, মায়ের কাছে কাছে ছিলাম। বিকেলে ঘুরতে বের হই। এখনও ঈদের সেলামি পেতে ভালো লাগে। বড় আপু আছে তো! আমি বাড়ির ছোট। সবাই আমাকে সালামি দেয়। আমি সালামি নিই। আমার ছোট যারা তাদের আমি সালামি দিই। সালামি ছাড়া ঈদের মজা অসম্পূর্ণ।’
সারওয়াত আজাদ বৃষ্টি
ঈদ করবো বিদেশে, পরিবারের সাথে। আমরা এবার ছয়টি দেশে ঘুরবো। ঈদের অনেক স্মৃতি আছে। আমার দাদুবাড়ি মাদারিপুর ও নানুবাড়ি বরিশাল। দাদুবাড়িতে কখনো ঈদ করার হয়নি। ছোটবেলায় নানু বাড়িতে ঈদ করতাম। কাজিনদের সাথে অনেক মজা করতাম ঈদের আগের রাতে ও ঈদের দিনে।’ এখন আব্বু আম্মুর পুরো পরিবার ঢাকাতেই ঈদ করার হয়। ঈদের দিন আম্মুকে হেল্প করতে ভালো লাগে। মজার মজার খাবার রান্না করেন আম্মু। আমি সেগুলো সাজিয়ে পরিবেশন করি। ঈদের দিন আত্মীয় সজনদের বাড়িতে ঘুরতে যাই। এবার তো দেশের বাইরে থাকবো। এই ঘুরাঘুরিটা মিস করবো।
সামিয়া অথৈ
এবার অভিনয় করছি লাক্স নিবেদিত কয়েকটি নাটকে। সেগুলো দেখার পরিকল্পনা আছে। আর এবারের ঈদ ঢাকাতেই হচ্ছে। ঈদের আনন্দ শেয়ার করতে গেলেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। আমি খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতাম। গোসল সেরে, ঈদের পোশাক পড়ে বেড়াতে বের হবো সেই ভাবনা থাকতো মাথায়। ঈদে সেলামি নিতাম। একবার ঈদের দিন খুব বৃষ্টি হয়েছে। সারাদিন বৃষ্টি। থামছেই না কিছুতেই। আমার মনে পড়ে খুব কান্নাকাটি করেছিলাম ওই দিন। কাদঁতে কাঁদতে বলছিলাম, ‘বৃষ্টি থামে না কেন? আমি কি বাইরে যাবো না? সেলামি নিব না কারো থেকে?’ আসলেই ছোটবেলার ঈদটা ছিল অন্যরকম মজার। এখনও ঈদ মজার। তবে ছোট বেলার ঈদটা মন ছুঁয়ে আছে।