অনলাইন ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবিতে গড়ে ওঠা ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ যুগ্ম আহবায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র এপিএম সোহেলের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। পাশাপাশি অন্যান্য আন্দোলনকারীদেরও গ্রেফতারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান মামুন। এসময় সোহেলের যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন, ফারুক হোসেন, মাহফুজ খান প্রমুখ।
এ সময় হাসান আল মামুন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুতেই আন্দোলনকারীদের উপর শুরু থেকেই হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে আমাদের অন্যতম সহকর্মী সুহেলকে ছাত্রলীগ হামলা করে। আমরা তাদের বিচার দাবি করি। একই সাথে সোহেলের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে সরকারকে আহবান জানাই।
হামলার বিচার না করলে ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে আবারও রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দেন পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক ফারুখ হোসেন। তিনি বলেন, আমরা সোহেলসহ এ পর্যন্ত সকল আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার বিচার দাবি করছি। আর আগামীতে এই ধরণের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হলে সারা বাংলার ছাত্রসমাজ ঘরে বসে থাকবে না। তারা রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, এর আগে মোবাইল, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সোহেলকে হুমকি দেয় তারা। শুধু সোহেলকেই নয় বরং আন্দোলনকারী অন্যান্য নেতাকর্মীদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেন তারা।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে হামলাকারীদের পরিচয় তুলে ধরে আহত সোহেল বলেন, পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক শোভন, জামালপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির জবি শাখার সাধারণ সম্পাদক এস কে মিরাজ, পরিসংখ্যান বিভাগের মাহফুজ ও বাবু আমার উপর হামলা করে। এরা সবাই জবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও শাখা সভাপতি তারিকুল ইসলামের অনুসারী। হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে জানিয়ে সোহেল বলেন, বুধবার রাতে আমি নিজে বাদি হয়ে হামলার ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মামলা করেছি। জড়িতদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২৩ মে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এপিএম সোহেলের ওপর হামলা চালিয়েছে চালায় সন্ত্রাসীদের ১০-১২ জনের একটি দল। এ সময় সন্ত্রাসীদের রড ও লাঠির আঘাতে সোহেলের ঠোঁট ও নাক ফেটে গেছে। পা ও পিঠে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঠোঁটে পাঁচটি সেলাই করা হয়েছে।