নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণার মাধ্যমে সরকারের পরাজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে এই আন্দোলন যদি চলতে থাকে, তাহলে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় থাকাটা কঠিন হবে। বিষয়টি বুঝতে পেরেই প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টির আয়োজনে ‘নির্বাচনে সেনা মোতায়েন: নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন।
মওদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জানেন এই আন্দোলন কতটা বেগবান হয়েছে। আওয়ামী লীগ যে তাদের ক্ষমতা এই আন্দোলনের মাধ্যমেই হারাতে পারে তা তিনি বুঝতে পেরেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। এর আগে আওয়ামী লীগের একেক মন্ত্রী একেক কথা বলেছেন। আবার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিছু বললেই তিনি রাজাকার! মতিয়া চৌধুরীর উচিত পদত্যাগ করা না হলে সমস্ত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। তিনি আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, একটি দেশের প্রশাসন মেধাভিত্তিক না থাকলে সে দেশ রক্ষা করা সম্ভব নয়। কোটা হতে পারে ততটুকুই যতটুকু একেবারে না হলেই নয়। আন্দোলনটি ছিল ছাত্রদের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের প্রতিফলন। তাদের অনেক দিনের জেদের ফল আজকের এই বিশাল আন্দোলন। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ক্ষোভ প্রকাশিত হয়েছে এই আন্দোলনের মাধ্যমে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে চারটি শর্ত মেনে নিতে হবে দাবি করে মওদুদ বলেন, যেসব শর্ত মেনে নিলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হচ্ছে- বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। নির্বাচনের ৯০ দিনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
খালেদা জিয়াকে নিজস্ব চিকিৎসার ব্যবস্থার দাবি করে তিনি বলেন, তারা যে মেডিকেল বোর্ড করেছে তা আমরা মানি না। কারাবরণের নামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খালেদা জিয়াকে রেখে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটানো হয়েছে।
লেবার পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি এসএম ইউসুফের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।