নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষমতার পালাবদল হলে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হয়। ক্ষমতায় এসেছি মানুষের উন্নয়নে, নিজের উন্নয়নে নয়। আমরা চাই বাংলাদেশ উন্নত দেশের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এর আগে ঢাকাসহ বিভিন্ন সেনানিবাসে ২৭ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নিতে দেশের সুনাম বহির্বিশ্বে বেড়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে, চুক্তি হয়েছে। কিন্তু তারা এখনো কিছু করছে না। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে আরও উন্নত করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াবে সেনাবাহিনী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনী দেশে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জন করেছে। এ মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নমূলক কাজ যেমন সেনাবাহিনী করছে তেমন শান্তি শৃঙ্খলায় কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জনগণের সেবা করতে চান। শাসক হতে চান না। আওয়ামী লীগ সবসময় দেশের মানুষের উন্নয়নে চায়, সেটি ক্ষমতায় থেকে হোক বা বিরোধী দলে থেকেই হোক।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমার ভাই শেখ কামাল মুক্তিযোদ্ধা সে ছিল ক্যাপ্টেন। আমার অপর ভাই শেখ জামাল ছিল লেফটেন্যান্ট। এমনকি আমার ছোট ভাই রাসেলকে জিজ্ঞাসা করা হলেও সে বলত সেও সেনাবাহিনীর সদস্য হবে। তাই সেনা পরিবারের সদস্য হিসেবে এ বাহিনীর উন্নয়ন করা আমাদের কর্তব্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনা সদস্যদের জন্য কল্যাণমুখী পদক্ষেপ নিয়েছি। রসদ বাড়ানোর পাশাপাশি ভাতা বাড়িয়েছি। তাদের জন্য আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। প্রথমবারের মতো আমরা সেনাবাহিনী প্যারা কমান্ডো ইউনিট চালু করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে মেয়েদের সেনা ও বিমানবাহিনীতে নিয়োগের ব্যবস্থা করি। নারী পাইলট সংযোজন করে নতুন যুগের সূচনা করি। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য কেন্দ্র করে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সেনা সদস্যের জন্য ২ লাখ টাকার দুস্থ ভাতা ৬ লাখ টাকা করে দিয়েছি। এলপিআর এর মেয়াদ ছয় মাসের বদলে এক বছর করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর জেসিও পদকে দ্বিতীয় থেকে প্রথম শ্রেণির করা হয়েছে। সার্জেন্টকে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, যখনই প্রয়োজন হবে সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়াবে। এটাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। অতীতের মতো সরকারকে সহযোগিতার মাধ্যমে ভবিষ্যতেও তারা মানুষের পাশে দাঁড়াবে।