অনলাইন ডেস্ক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিলের শুনানি ১৫ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ১৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেয়।
আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও আব্দুর রেজাক খান। দুদকের পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী খুরশীদ আলম।
এর আগে আজ সকাল ১১টায় খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। শুরুতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান মামলার পেপারবুক থেকে এফআইআর পড়া শুরু করেন। এরপর চার্জশিট পড়েন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ১২ জুলাই শেষ হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন আইনজীবীরা। এ আবেদনের পর আদালত ১৯ জুলাই পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছে।
গত ৯ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১২ জুলাই নির্ধারণ করেছ হাইকোর্ট।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয় আদালত।