ডা. আলমগীর মতি: বসন্ত থেকেই গরম শুরু। এ সময়ে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। তাই শরীর যেন পানিশূন্য হয়ে না পড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হয়।
যা খাবেন : এ সময় প্রতিদিন ২-৩ লিটার বিশুদ্ধ পানি বা পানীয় পান করতে হবে। ওরস্যালাইন, ডাবের পানি লবণের চাহিদা পূরণ করে। বাজারে অনেক দেশি ফল আছে। বাঙ্গি, তরমুজ, কাকুড়, ডালিম, ক্ষিরা, শসা, পানি সমৃদ্ধ ফল। এগুলো বেশি বেশি খাওয়া যায়। লেবু ও তোকমার শরবত গ্রহণ অনেক উপকারী। শিশুরা যেন এসব পানীয় গ্রহণ করে সেদিকে অভিভাবকরা লক্ষ্য রাখুন। লাউ, সিম, চাল কুমড়ার রান্না করা তরকারি খাবেন।
দুপুরে ও রাতে খাবারে সালাদ, টক-মিষ্টি চাটনি খাবেন। প্রতিদিন সম্ভব হলে টক দই খান। প্রস্রাবের রং হলুদ, বিবর্ণ বা ঘন হলেই বুঝবেন দেহে পানিস্বল্পতা হয়েছে। জন্ডিস বা হেপাটাইটিস হলেও প্রস্রাবের এ রং হয়।
যা খাবেন না : চর্বিযুক্ত, তৈলাক্ত, ভাজা-পোড়া ও গুরুপাক খাবার গ্রহণ এ সময় এড়িয়ে চলুন। অ্যালকোহলযুক্ত, বেভারেজ পানিস্বল্পতা সৃষ্টি করে। যারা ঘরের বাইরে রোদে কাজ করেন তারা বোতলে পানীয়জল রাখবেন। খোলা আবহাওয়ার বা রাস্তার পাশের শবরত পান করবেন না।
গরম চা ও কফি এ সময় এড়িয়ে চলাই ভালো। বিনা প্রয়োজনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রোদে বের না হওয়াই ভালো। যারা ক্ষেত-খামারে কাজ করেন তারা কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছায়ায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেবেন।
ডা. আলমগীর মতি
হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক
মডার্ন হারবাল গ্রুপ, ঢাকা।