ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, গাজীপুরের নির্বাচন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য হবে একটা এসিড টেস্ট। আমরা দেখবো তারা কি করে। খুলনা স্টাইলে যদি গাজীপুরে নির্বাচন হয় তার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। এ নির্বাচন দেখেই আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
শনিবার (২৩ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মওদুদ বলেন, গাজীপুরের নির্বাচনের পরে আমরা চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেব রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো কী করবো না। আমরা নমিনেশন দেব, সবকিছু করবো। কিন্তু গাজীপুরের নির্বাচন দেখেই সিদ্ধান্ত নেব।
তিনি বলেন, জুন মাস শেষ। ডিসেম্বর বাদ দিলে বাকী থাকে মাত্র চার মাস। সুতরাং এখন সময় এসেছে প্রতিরোধ গড়ে তোলার। অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মিথ্যা মামলা প্রতিহত করার শক্তি অর্জন করতে হবে।
খালেদা জিয়াকে একটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে দাবি করে সরকারের উদ্দেশে মওদুদ বলেন, কতো কৌশল করবেন, কতো দেরি করবেন, একদিন তিনি জামিন পাবেন এবং তাকে নিয়েই আমরা নির্বাচন করবো।
গাজীপুরের এসপি হারুনকে স্বনামধন্য ব্যক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির সাবেক চিফ হুইপকে পেটানোর পরও তার প্রমোশন হয়েছে। তাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করলেও নির্বাচন কমিশন সেটা করেনি। যে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে একজন এসপিকে বদলি করতে পারে না, সে কমিশনের ওপর কিভাবে মানুষ আস্থা রাখবে।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচালেরও ষড়যন্ত্র করতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারাতে চাইবে না, হারলে তারা যে লাখ লাখ কোটি টাকা বানিয়েছেন, মানুষকে অত্যাচার-নির্যাতন করেছেন সবকিছু ধরা পড়ে যাবে। সেই ভয়ে তারা নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করতে পারে।
মওদুদ বলেন, আমি বিশ্বাস করি দেশের