Current Date:May 6, 2025

গামছা দিয়ে আমাদের চোখ বেঁধে ফেলা হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেছেন, আমরা রিকশায় ছিলাম। আকস্মিক ৭/৮টি বাইক এবং দুটি হাইস মাইক্রোবাস এসে আমাদের টেনে তুলে নেয়। এরপর গামছা দিয়ে আমাদের তিনজনের চোখ বেঁধে ফেলা হয়। বলা হয়, চুপ থাক, কথা বলবি না।

আজ সোমবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হোসেন ও নুরুল হক নুর। এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা।

নুরুল হক নুর বলেন, ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করতে এসে আজ একদিকে আমরা হত্যার হুমকি পাচ্ছি, অন্যদিকে পুলিশও আমাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে আহত আন্দোলনকারীদের দেখতে গেলে অনেক মানুষের সামনে থেকে তুলে নেয়ায় হয়তো আমরা বেঁচে ফিরতে পেরেছি। তবে, এরপর অন্য কোনো জায়গা থেকে তুলে নিয়ে গেলে আমাদের কে বাঁচাবে?

রাশেদ খান বলেন, আমার আব্বাকে তুলে নেয়া হয়েছে এবং বিশ্রী ভাষায় গালাগাল দিচ্ছে পুলিশ। তাকে জোর করে এটা বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে, তার ছেলে জামায়াত-শিবিরের লোক। আমি আশঙ্কা করছি তাদের ওপর আক্রমণ হতে পারে। সরকারের কাছে আমার আব্বার গ্রেপ্তারের বিচার চাই।

ফারুক হোসেন বলেন, আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের সবার হাতে রিভলবার ছিল। তাদের সাথে ছিল ৭/৮টি বাইক এবং দুটি কালো গ্লাসের হায়েস গাড়ি। আমাদের কাছে তথ্য চাইলে আমরা তাদের সঙ্গে গিয়ে তথ্য দিয়ে আসতাম। কিন্তু এভাবে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো কেন?

Share