নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলার ঘটনাটি ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চক্রান্ত’ বলে মনে করছে বিএনপি।
শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তার ঘণ্টাখানেক আগেই সিলেটে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে ছুরি নিয়ে জাফর ইকবালের মাথায় আঘাত করেন এক তরুণ। হামলাকারী সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়লেও তার পরিচয় মেলেনি।
ফখরুল বলেন, অধ্যাপক জাফর ইকবালের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বিএনপি।
“আমরা মনে করি যে, এটা আরেকটা চক্রান্ত। যারা দেশে এই ধরনের ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, এটা তাদেরই চক্রান্ত।”
জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ জাফর ইকবাল জঙ্গি হামলার হুমকি পেয়ে আসছিলেন। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাকে পুলিশ পাহারাও দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ পাহারার মধ্যেই তার উপর হামলা হল।
খুলনায় জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়াও ফখরুলের কাছে চান সাংবাদিকরা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য জালিয়াতি একটা কাগজের উপর ভিত্তি করে শুধু রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর জন্য, বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য তাকে সাজা দিয়েছেন। তারা জানেন যে, তাদের পক্ষে কখনও একটা সুষ্ঠু নির্বাচন নেওয়া সম্ভব হবে না। সেজন্য এটা (সাজা) দিয়েছেন।”
বিকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠক করেন ফখরুল।
এতে খালেদা জিয়ার জামিনে দেরি হওয়া এবং চলমান কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।
ফখরুল বলেন, “দেশনেত্রীর জামিন না হওয়ায় নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে নেত্রী মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।”
পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ হবে বলে জানান তিনি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে ছিলেন মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে ছিলেন হাফিজউদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, শাহজাহান ওমর, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মীর নাছির, রুহুল আলম চৌধুরী, আমিনুল হক, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন উকিল আবদুস সাত্তার, এ জে মোজাম্মদ আলী, লুৎফর রহমান খান আজাদ, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, মনিরুল হক চৌধুরী, মশিউর রহমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, মাহবুবুর রহমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, জয়নাল আবেদিন ভিপি, আবদুর রশিদ, জিয়াউর রহমান খান, তাজমেরী ইসলাম, সাহিদা রফিক, গোলাম আকবর খন্দকার, আবদুল হাই, কবীর মুরাদ, ফজলুল রহমান, আতাউর রহমান ঢালী, সিরাজুল ইসলাম, সুকোমল বড়ুয়া, আবদুল কাইয়ুম, বিজন কান্তি সরকার, তৈমুর আলম খন্দকার, মান্নান তালুকদার, অধ্যাপক আব্দুল বায়েস ভুঁইয়া, ময়নুল ইসলাম শান্ত, মোহাম্মদ শাহজাদা মিয়া, এসএম ফজলুল হক, আবদুল কুদ্দুস, মামুন আহমেদ, ফরহাদ হালিম ডোনার, মুক্তাদির হোসেন, শামসুল আলম, আবদুল হাই শিকদার।
যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হারুনুর রশীদ, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ বৈঠকে ছিলেন।
প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী ও সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুও ছিলেন বৈঠকে।