নিজস্ব প্রতিবেদক রাষ্ট্রমালিকানাধীন জনতা ব্যাংকের তিন মাসে আমানত বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। বেক্সিমকোকে ঋণ দিয়ে ঝুঁকিতে নেই জনতা ব্যাংক বরং বেক্সিমকো’র মতো গ্রুপের গ্রাহক পেয়েছে, এটাই জনতা ব্যাংকের বড় প্রাপ্তি।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে ব্যাংকের বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ চায়িতায় জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবদুল জব্বার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বেক্সিমকো দেশের শিল্পখাতের বিকাশে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ১ লাখ লোক কাজ করছে। দেশের রফতানি খাতে বড় ভূমিকা রয়েছে গ্রুপটির। বেক্সিমকো ঋণের নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করছে। বেক্সিমকো গ্রুপের কোন খেলাপি নেই।
তিনি বলেন, আমি যোগদান করার পরে তিন মাসের একটি কর্মূসূচি নিয়েছিলাম। সেখানে বেশকিছু সূচকে উন্নতি হয়েছে। তিন মাসে আমানত সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র নিয়েছিলাম ৫ হাজার কোটি টাকা। তিন মাসে আমানত ১০ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। জনতা ব্যাংকের বর্তমানে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি আমানত রয়েছে।
এমডি বলেন, আমি যখন দায়িত্ব নেই তখন জনতা ব্যাংকের আমানত ছিল ১ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া হিসাব খোলার লক্ষ্যমাত্র নিয়েছিলাম ১ লাখ। কিন্তু হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার। এছাড়া রেমিট্যান্স বাড়ছে। আরো বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খেলাপি ঋণ আদায়ের পাশাপাশি নগদ আদায়ে জোর দেয়া হয়েছে। এছাড়া বড় ঋণের চেয়ে এসএমই ঋণে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে।
এমডি বলেন, ২০২১ সালে বেক্সিমকো গ্রুপ জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ হাজার ৬১০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করেছে। বেক্সিমকো গ্রুপের মাধ্যমে জনতা ব্যাংকের মুনাফা ছিল ৭০৭ কোটি টাকা। ২০২২ সালে জনতার ব্যাংকের মাধ্যমে বেক্সিমকোর আমদানি হয়েছে ৯ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা। রফতানি হয়েছে ১৩ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৪৭৪ কোটি ২ লাখ টাকা।