সিলেট প্রতিনিধি : হামলার শিকার হয়ে দশদিন ধরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপতালে চিকিৎসাধীন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বুধবার ক্যাম্পাসে ফিরছেন।
জাফর ইকবালের স্ত্রী ইয়াসমিন হক জানান, বুধবার বেলা ১টার দিকে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে করে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
গত ৩ মার্চ বিকালে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠান চলাকালে এক উগ্রপন্থি মাদ্রাসা ছাত্র জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালান।
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জাফর ইকবালকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাকে পাঠানো হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।
কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠার পর গত ৭ মার্চ হাসপাতালের সিসিইউ থেকে কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয় এই জনপ্রিয় লেখককে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই তিনি আবার লেখালেখি শুরু করেছেন বলে সেদিন জানিয়েছিলেন তার ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন।
ইয়াসমিন হক বলেন, বুধবার বেলা ১২টায় ঢাকা থেকে ফ্লাইট ছাড়বে। বিকাল ৪টায় হামলার স্থান মুক্তমঞ্চে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন জাফর ইকবাল।
জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থানের কারণে অধ্যাপক জাফর ইকবালকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বহুবার। সেজন্য সরকারের তরফ থেকে দেওয়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেই তার ওপর হামলার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ।
হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার ফয়জুল হাসান ওরফে শফিকুর র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলে, জাফর ইকবাল ‘ইসলামের শত্রু’ বলে সে মনে করে, এ কারণেই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সে হামলা করেছে।
আর আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ওই যুবক নিজে নিজেই জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা মামলায় ইতোমধ্যে ফয়জুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রোববার ফয়জুলের বাবা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম এবং মামা ফজলুর রহমানকেও রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।