প্রাচীনকালে থেকেই তেঁতুল সাধারণত ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তেঁতুলে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। জ্বর, গলা ব্যথা, বাত, প্রদাহে বিভিন্ন রোগে তেঁতুলের গুরুত্ব রয়েছে। তাছাড়া হাই প্রেসার রোগীদের জন্য তেঁতুল খুবই প্রয়োজনীয়।
গবেষণাদের মতে, শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে তেঁতুল অনেকটা সাহায্য করে। আসলে তেঁতুলে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের ভিতরে প্রদাহ কমানোর মধ্যে দিয়ে একাধিক রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং রোগমুক্ত রাখতে প্রতিদিন সম্ভব না হলেও অন্তত সপ্তাহে তিনদিন তেঁতুল খেতে পারেন।
তেঁতুল খেলে শরীরে যেসব উপকার পাওয়া যায় সেগুলো উল্লেখ করা হলো-
১) ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে : সরাসরি না হলেও প্ররোক্ষভাবে রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেঁতুল দারুণভাবে কাজ করে। আসলে তেঁতুলে উপস্থতি বেশ কিছু এনজাইম, কার্বোহাইড্রেটের শোষণ মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
২) হার্টের ক্ষমতা বাড়ে : একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, তেঁতুলের ভিতরে থাকা একাধিক ভিটামিন এবং খনিজ ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্তে উপস্থিত বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। আর হার্টের কর্মক্ষমতা কমাতে ব্লাড প্রেসার এবং কোলেস্টেরল কোনও খামতিই রাখে না। তাই শরীর যখন এই দুই ক্ষতিকর রোগ থেকে দূরে থাকে, তখন স্বাভাবিকভাবেই হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটার কোনও সুয়োগই থাকে না। সুতরাং তেঁতল খাওয়া খুবই জরুরি।
৩) হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় : তেঁতুলে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার হজমে সহায়ক করে। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় “বিলিয়াস সাবস্টেন্স” যা খাবার হজমের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ফলে বদ-হজমের আশঙ্কা হ্রাস পায়। এক কথায়, পেটের ভিতরে ছোট-বড় প্রতিটি কাজ যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে তেঁতুল। ফলে যে কোনও ধরনের পেটের রোগ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৪) ওজন হ্রাসে সাহায্য করে : একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, তেঁতুল খাওয়া শুরু করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ক্ষিদে কমে যায়। আর একবার কম খাওয়া শুরু করলে ওজন কমতে সময় লাগে না। এছাড়া তেঁতুলে যেসব উপাদান রয়েছে তা শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে স্বাভাবিক ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তথ্যসূত্র : ইনাডু ইন্ডিয়া।