Current Date:Nov 29, 2024

নতুন করে ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে

নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমারের সামরিক জান্তার চরম বর্বরতার শিকার রোহিঙ্গারা। হত্যা-ধর্ষণ ও ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ অব্যাহত রেখে দেশটির রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া রোহিঙ্গা আবাস বুলডোজারে গুড়িয়ে অপরাধের আলামতও নষ্ট করা হয়।

গত বছরের ২৫ আগস্ট শুরু করা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ নির্যাতন থেকে বাঁচতে ৬ লাখ ৯২ হাজার রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আরাকানে সেই নৃশংস অভিযান অব্যাহত থাকায় গত নভেম্বরে প্রত্যাবাসন চুক্তি সইয়ের পরেও নতুন করে ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। ফলে বর্তমানে আরাকানে আর মাত্র ৭৯ হাজারের মতো রোহিঙ্গা অবশিষ্ট আছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামী আগস্টের মধ্যে মিয়ানমার রোহিঙ্গাশূন্য হবে।

বর্মী সামরিক বাহিনীর একটি নতুন রিপোর্ট নিশ্চিত করেছে যে, ২০১৬ সালে আরাকানে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৮ জন রোহিঙ্গা ছিল। আর জাতিসংঘ বলেছে, ৬ লাখ ৮৮ হাজার বাংলাদেশেই এসেছে। প্রয়াত রুশ নেতা ট্রটস্কি অনুসারী সমাজতন্ত্রীদের দ্বারা পরিচালিত ওয়ার্ল্ড সোসালিস্ট ওয়েবসাইটে (ডব্লিউএসডব্লিউএস) প্রকাশিত এক রিপোর্টে ওই তথ্যগুলো বেরিয়েছে।

ডব্লিউএসডব্লিউএস-এর ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী বর্মীরা চাপের মুখে ওই চুক্তি সই করেছে। কিন্তু তাতে তারা জাতিসংঘ বা তার কোনো সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করেনি। মিয়ানমার আগামী দুই বছর মেয়াদে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ থেকে গ্রহণ করবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। ২০১২ সাল থেকে গত আগস্টে ক্র্যাকডাউন শুরুর মধ্যবর্তী সময়ে অধিকাংশ রোহিঙ্গা আরাকান ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সাময়িকী ইরাবতীর এক রিপোর্টে উল্লেখ করে পশ্চিম মিয়ানমারের আরাকান থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে। এর মধ্যে যারা নিহত, নিখোঁজ কিংবা গ্রেফতার হয়েছেন তারা অন্তর্ভুক্ত নেই।

ফলে বলা যায়, বর্তমানে আরাকানে অবশিষ্ট থাকা মাত্র ৭৯ হাজারের মতো রোহিঙ্গা আরও বেশি নির্যাতনের শিকার হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে পাঁচ মাসে ৭০ হাজার এলে আগামী ৫ বা ৬ মাসে বাকি ৭৯ হাজার বাংলাদেশেই পালিয়ে আসতে পারে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামী আগস্টের মধ্যে মিয়ানমার রোহিঙ্গাশূন্য হবে।

Share