রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা দোকান খোলার জন্য অপেক্ষা করছেন। বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকেই প্রতিটি মার্কেটের সামনে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে নিউ মার্কেটের চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, নূর ম্যানশন মার্কেট, ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট, নুরজাহান সুপার মার্কেট, গ্লোব শপিং সেন্টার, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
এসব মার্কেটের সামনের প্রবেশ পথে ব্যবসায়ীদের দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গেছে। খুব কম সংখ্যক দোকানী ও ব্যবসায়ীরা জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প সময়ের জন্য মার্কেটের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন। মার্কেটগুলোর মূল কলাপসিবল গেট ও পকেট গেট ভেতর থেকে নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়ন্ত্রণ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নিরাপত্তাকর্মী জানান, মার্কেটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদেরকে যেরকম আদেশ দিয়েছেন আমরা সেটি পালন করছি। এখন পর্যন্ত মার্কেটের কলাপসিবল গেট খোলার অনুমতি আমরা পাইনি। কোন ব্যবসায়ী ও দোকান মালিককে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, যে করেই হোক, ঈদের বাজার ধরতে হবে। ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের রফিকুল আহসান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, দুই দিন ধরে মার্কেট বন্ধ থাকায় যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। আমরা আর ক্ষতি হোক চাচ্ছি না। আমরা চাই দ্রুত সুন্দর পরিবেশে দোকান খুলে দেওয়া হোক। আমরা সুষ্ঠু পরিবেশে ব্যবসা করতে চাই। গত দুই বছর ঈদের আগে করোনার কারণে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে এ বছর সেটি পুষিয়ে উঠতে না পারলে বড় ধরনের ক্ষতির মধ্যে পড়ে যাব।
সিরাজুল ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, বিষয়টির সুন্দর সমাধানে আসতে হবে। দুই দিনে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাচ্ছি না সেটি আর দীর্ঘ হোক। স্বাভাবিক সুন্দর পরিবেশে আমরা দোকান খুলতে চাই।
দোকান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, আমরা দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সিদ্ধান্ত ও ঘটনার বিস্তারিত জানাব। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
অপরদিকে, অনভিপ্রেত পরিস্থিতি এড়াতে নিউ মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট ও ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের আশপাশে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।