নিউজ ডেস্ক : অচিরেই ঘনিষ্ঠ দুই প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও নেপাল সফরের পরিকল্পনা করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ দুটি দেশের মধ্য বাংলাদেশে এ বছরের শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি চলছে। ঢাকা ও কাঠমান্ডুর প্রতি ভারত সরকারের সমর্থন প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আসছেন মোদি।
ভারতের অনলাইন দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এসব কথা।
রোববার দ্বীপাঞ্জন রায় চৌধুরীর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির আওতায় বাংলাদেশ ও নেপাল সফর করবেন নরেন্দ্র মোদি। এ সফরে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশে তাঁর সরকারের সহযোগিতার কথা জানাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী কয়েক মাসের মধ্য এ সফর হবে। নির্বাচনী বছরে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য দিল্লির সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি চুক্তির আশা করছে ঢাকা। হিমালয়ের দেশ নেপালে এ বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ নেপাল ছাড়াও মোদি ভুটানেও যাবেন।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিজয় ঘোগলে মোদির সফরের আগে ঢাকা সফর করতে পারেন। সেই সফরে দুই দেশের অংশীদারত্ব নিয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদির এ সফর এমন একসময়ে হতে যাচ্ছে, যখন চীন ও ভুটানের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন দিকে মোড় নিতে চলেছে এবং বাংলাদেশে চীনের কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় বাংলাদেশে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চীন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভুটানে ভারত-সমর্থিত নতুন বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনার কাজ চলছে। অন্যদিকে নির্বাচনের বছরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হলে তাতে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে। ওদিকে নেপালে নতুন করে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে ভারতে আসতে পারেন নেপালি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি।
কবে, কোনো তারিখে মোদি ঢাকায় আসছেন, তা নিশ্চিত করে ওই প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, মোদি যে বাংলাদেশ সফরে আসছেন, তা প্রায়ই চূড়ান্ত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৪ সালে প্রথম বিদেশ সফরে ভুটান গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৫ সালে তিনি ঢাকা সফর করেন। অন্যদিকে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর তিনবার দিল্লি সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।