নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারি সাত কলেজে স্নাতকের ফাঁকা আসন পূরণের দাবিতে নীলক্ষেতে সড়ক অবরোধ করা শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২ মার্চ) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের নীলক্ষেত মোড় থেকে সরিয়ে দেয়। এতে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
এর আগে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। সাত কলেজে স্নাতকের তিন হাজার ফাঁকা আসনে ভর্তির দাবিতে তারা এই বিক্ষোভ শুরু করেন। সড়ক অবরোধের কারণে তখন যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সাত কলেজের মোট আসনের মধ্যে প্রায় তিন হাজার আসন ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হচ্ছে। বিষয় মনোনয়নের সময় উল্লেখ ছিল সাত কলেজের মোট আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ১৬০টি। কিন্তু চূড়ান্ত মনোনয়নের পর ২৩ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ জানানাে হয়, সাত কলেজে মোট ২৩ হাজার ২৬২ আসনে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। এটি যুক্তিসঙ্গত নয়। এতে শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রশাসন চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি হতাশাজনক।
আন্দোলনের সমন্বয়ক সাঈফ নেওয়াজ চৌধুরী বলেন, আমরা চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফাঁকা আসনগুলোতে শিক্ষার্থীদের সিট দেওয়া হোক। অন্যথায় সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে সামনে জোরালো কর্মসূচি নেওয়া হবে। আমরা অসংখ্য শিক্ষার্থী সুযোগ পাওয়ার পরও ভর্তি হতে না পেরে হতাশ হওয়ার পথে।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত কলেজের বিজ্ঞান অনুষদ, বাণিজ্য অনুষদ, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে লগইন করে কলেজ ও বিষয় পছন্দ করেন। শিক্ষার্থীদের আবেদন ও ফলের ভিত্তিতেই কলেজ এবং বিষয় বরাদ্দের ফল দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে তাদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। সবশেষ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে আটটার দিকে অধিভুক্ত কলেজ সমূহের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে স্নাতক ১ম বর্ষ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশ শেষ হয়।
এর আগে ৫ ও ৬ নভেম্বর সাত কলেজের বাণিজ্য, বিজ্ঞান অনুষদ এবং ১৭ নভেম্বর কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় বাণিজ্য অনুষদে পাসের হার প্রায় ৭৩ শতাংশ, বিজ্ঞান অনুষদে পাসের হার ৫৭.৭০ শতাংশ এবং কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে পাসের হার ৬৭.৯ শতাংশ।