স্পোর্টস ডেস্ক : খেলা শুরুর ঘণ্টা খানেক আগেই খবর আসে, নেইমারের পায়ে অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই। সেই দুঃসংবাদ ক্লাবের বন্ধুদের কান পর্যন্ত গেছে কি না জানা যায়নি। তবে বন্ধুর এমন সময়ে একটা ভালো জয়ই হতে পারে সেরা উপহার। সেটা জানতেন ডি মারিয়ারা। সে জন্যই হয়তো নেইমারকে জয়ই উপহার দেন তাঁরা। ম্যাচে নেইমারের অভাব বুঝতেই দেননি তাঁরা। ডি মারিয়া একাই করেছেন দুই গোল। আর্জেন্টাইন তারকার জোড়া গোলেই মার্শেইয়ের বিপক্ষে ফ্রেঞ্চ কাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে পিএসজি।
পার্ক ডেস প্রিন্সেস স্টেডিয়ামে পাত্তাই পায়নি মার্শেই। বল দখলের চিত্রই তা অনেকটা বলে দেয়। ম্যাচের ৬৬ ভাগ সময়েই বল পিএসজির খেলোয়াড়দের দখলে ছিল। মার্শেই গোলমুখে শট নিয়েছে মাত্র ৮টি। এই ৮টির প্রায় সব কটিই ছিল পথা হারানো, দিশেহারা। যেখানে পিএসজির ১৭টি শটের বেশির ভাগই ছিল নির্দিষ্ট লক্ষ্যে।
প্রথমার্ধেই পিএসজি–ভক্তদের উল্লাসের উপলক্ষ তৈরি করে দেন নেইমারের জায়গায় খেলতে নামা ডি মারিয়া। মারিয়ার প্রথম গোল অবশ্য খানিকটা আগেও হতে পারত। মার্শেই গোলরক্ষক স্টিভ মানদানার দুর্দান্ত দক্ষতায় সেটা হয়নি। ভাগ্যদেবী ডি মারিয়ার পক্ষেই ছিল। তাই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৪৮তম মিনিটেই দ্বিতীয় গোলের দেখা পান রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই তারকা। এরপর বেশ কয়েকবার মার্শেইয়ের রক্ষণভাগ ভেদ করে মারিয়া-কাভানি জুটি। ৮১তম মিনিটে পিএসজির গোলসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩-এ। এবার গোলদাতা এডিনসন কাভানি।
কাভানির গোলের পর ফ্রেঞ্চ কাপ ফুটবলের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে পিএসজি। আর দুই ম্যাচ জিততে পারলেই আসরটির চতুর্থ শিরোপা পিসএজির শোকেসে উঠবে।
মজার বিষয় হচ্ছে, এই মার্শেইয়ের বিপক্ষেই দিন কয়েক আগে বাজেভাবে চোট পান নেইমার। যেই চোট তাঁর বিশ্বকাপে থাকা নিয়েও তৈরি করেছে আশঙ্কা। কাকতালীয়ভাবে ওই ম্যাচও পিএসজি ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল। খারাপ খবর ছিল শুধু নেইমারের চোট। এই ম্যাচ জিতে কি সেই প্রতিশোধই নিলেন উনাই এমেরির শিষ্যরা! সূত্র: এএফপি