চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বুধবার সকালে চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন। এসেই তিনি বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু ভবন কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে ১৪ হাজার কোটি টাকার ৪১ প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এ ছাড়া পটিয়ায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বিকেলে ভাষণ দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করবেন তার মধ্যে রয়েছে- নগরীর দুঃখখ্যাত জলাবদ্ধতা নিরসন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, কর্ণফুলী নদী খনন, বিদ্যুৎকেন্দ্র, সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স, সেতু-সড়ক, চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ প্রকল্প।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের তালিকায় রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স, পটিয়া উপজেলার খোদারহাট সেতু, বোয়ালখালী উপজেলার মিলিটারিপুল, পটিয়ায় শেখ রাসেল ভাস্কর্য ও মঞ্চ, ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট-মাইজভাণ্ডার সড়ক।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেওয়া সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার ডলু নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। ভিত্তিপ্রস্তরের তালিকায় আরও রয়েছে- পটিয়া উপজেলার কালারপোল সেতু নির্মাণ প্রকল্প, পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী-টইটং আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প এবং কেরানীহাট-সাতকানিয়া-গুণাগরী মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প। এ ছাড়া নগরীর অনন্যা ও কল্পলোক আবাসিক এলাকা, রহমতগঞ্জ, এফআইডিসি কালুরঘাট, অক্সিজেন, মইজ্যারটেক, কাট্টলী ও মনসুরাবাদ ৩৩/১১ কেভি নতুন জিআইএস বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্মিত আইসিটি সুবিধাসহ পাঁচতলা একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ তালিকায় রয়েছে নগরীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজ, মিরসরাই উপজেলার প্রফেসর কামাল উদ্দীন চৌধুরী কলেজ, রাঙ্গুনিয়া মহিলা কলেজ, পটিয়ার মীর খলিল ডিগ্রি কলেজ ও বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় ডিগ্রি কলেজ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ। প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশে ঢুকতে নির্ধারণ করা হয়েছে তিনটি প্রবেশপথ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটকে মূল প্রবেশপথ রাখা হয়েছে। মাঠের দক্ষিণ পাশে রাখা হয়েছে দুটি প্রবেশপথ। এর একটিতে সমাবেশে নগর ও উত্তর এবং অন্যটিতে দক্ষিণ জেলার নেতাকর্মীরা প্রবেশ করবেন। এ ছাড়াও পটিয়া কলেজ গেট দিয়ে নারীদের জন্য একটি আলাদা প্রবেশপথ রাখা হয়েছে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর পর প্রধানমন্ত্রী পটিয়ায় আসছেন। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে নির্বাচনী জনসভায় পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসেছিলেন তিনি।
জনসভার জন্য বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা যাতে নির্বিঘ্নে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখতে পান, সেই লক্ষ্যে ঢাকা থেকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ‘কলরেডি’র ১৫০টি মাইক ও ২০ পেয়ার সাউন্ডবক্স আনা হয়েছে। জনসভা মঞ্চের পাশে দুটি ও সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে আরও পাঁচটি বড় এলইডি মনিটর বসানো হবে। নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি জনসভাস্থলের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ১০০ নেতাকর্মী স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করবে।