Current Date:Nov 25, 2024

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু এখন আমাদের নয়, এটা বিশ্ব ঐতিহ্য। আর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালিকে উদ্বুদ্ধই করেনি, বিজয় এনে দিয়েছে।
ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৭ মার্চে ভাষণের দিনটি স্মরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া

বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৭ মার্চে ভাষণের দিনটি স্মরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় এসব বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালে লন্ডনে যান, সেখানে বসে পূর্ব বাংলায় গেরিলা যুদ্ধের পরিকল্পনা করেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কখনওই ক্ষমতা ছাড়বে না। ওই বৈঠকে ভারতের দুজন প্রতিনিধিও ছিলেন। এখন আমিই একমাত্র সেই ঘটনার জীবিত সাক্ষী।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে পাকিস্তানি সেনারা তাদের বইতে লিখেছেন, তারা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন, কী করবেন বুঝতে পারেননি সেদিন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শুধু ক্ষমতার জন্য আমার বাবাকে হত্যা করেনি, আমার পুরো পরিবারকে হত্যা করে ঘাতকরা। এত রক্ত নিয়ে বাংলাদেশকে এক কদমও এগিয়ে নিতে পারেনি তারা। ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। তাই ৭ মার্চের ভাষণ শুধু এখন আমাদের নয়, এটা বিশ্ব ঐতিহ্য। বিশ্বে স্বাধীনতার জন্য এ যাবৎ যারা ভাষণ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ ৭ মার্চের ভাষণ। আর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালিকে উদ্বুদ্ধই করেনি বিজয় এনে দিয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণ এটা বিশ্ব ঐতিহ্য।

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। একইভাবে এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে। মূলত বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের আহ্বানেই মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে বাঙালি।

Share