নিউজ ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটকে স্বাগত জানিয়েছেন টেলিভিশন ইন্টারনেটসহ যোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, যোগাযোগে উন্নতি বৈদেশিক মুদ্রা আয়সহ ইতিবাচক অনেক দিক থাকলেও চ্যালেঞ্জও কম নয়। সব সেক্টরের সঙ্গে পরামর্শ করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথা বলছেন তারা।
নানা জল্পনার-কল্পনার শেষ করে অবশেষে মহাকাশে নিজের নাম লেখাল বাংলাদেশ। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ইতিহাসের অংশ হল বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। স্বপ্নের এ স্যাটেলাইট গৌরবের পাশাপাশি অনেক ইতিবাচক দিক নিয়ে আসছে। তবে সেগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে জল্পনা-কল্পনাও কম নয়।
টেলিভিশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজেদের স্যাটেলাইটে বাংলাদেশকে বাড়তি সুবিধা দিলেও কানেক্টিভিটি খরচ একটি বড় প্রশ্ন।
ডিবিসি নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বলছেন, একটা স্যাটেলাইট যাওয়ার পর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারছি না- এর সিগন্যালটা কতটা পাবো? এটাকে টেকনিক্যাল ভাষায় বলে ইআইআরপি। একটা ইআইআরপি ও টোটাল গেইনটা অর্থাৎ সিগনাল পাঠানোর পর গেইন কতটা পাচ্ছি- তা পরীক্ষা করতে হবে।
অন্যদিকে বেসিস বলছে, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হলেও এর প্রয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন।
বেসিস সভাপতি আলমাস কবির বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে- যেখানে এখনও কমিউনিকেশন পৌঁছায়নি; কমিউনিকেশনের ইনফ্রাস্ট্রাকচার পৌঁছায়নি, সেখানে অতি সহজে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কমিউনিকেশনের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও মাধ্যম তৈরি করা যাবে।
তিনি বলেন, প্রায় দেড় কোটি ডলারের মতো টাকা আমরা বাইরে খরচ করি শুধু টিভি চ্যানেলগুলোর স্যাটেলাইট ভাড়ায়। এই বৈদেশিক মুদ্রাটা অবশ্যই সেভ হবে।
একইসঙ্গে যারা দীর্ঘদিন ধরে প্রযুক্তি খাত নিয়ে কাজ করছেন তারা মনে করেন, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কাজ করলে বিষয়টি সহজ হবে।
মঞ্জু বলেন, আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সি-ব্যান্ডে কাজ করে। ফলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে যে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার আছে, তা থেকে টেলিভিশনকে প্রথমত সি-ব্যান্ডে দিতে হবে। যদি এটা না দেয়া হয়, তবে আমাদের এন্টিনা থেকে শুরু করে অনেক ইকুইপমেন্ট নতুন করে কিনতে হবে। যেটা সময়সাপেক্ষ এবং অর্থ দণ্ডের ব্যাপার।
আর আবহাওয়াবিদরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সাহায্য করবে এ স্যাটেলাইট।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের সেবা দিতে অনেক সময় দেরি হওয়ার বিষয়টি থাকে। এই স্যাটেলাইটের ফলে এখন আর হয়তো সেটি হবে না।
তবে কক্ষপথে স্যাটেলাইটের অবস্থান, কভারেজের ক্ষমতা, দাম আর সরকারি সিদ্ধান্তের ওপরই বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফলতা নির্ভর করবে বলে মনে করছেন তারা।