দেশের ৫১ দশমিক তিন শতাংশ তরুণ ভোটাররা বর্তমান সরকারকে ফের নির্বাচিত করতে চান বলে এক জরিপে বলা হয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫৩ দশমিক পাঁচ শতাংশের ধারনা, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
গবেষণা ও কমিউনিকেশন স্ট্যাটেজি ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক প্রতিষ্ঠান কলরেডি এ জরিপটি করেছে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৩০ দশমিক দুই শতাংশ আওয়ামী লীগ সরকারকে চায় না। ১৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ এখনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
গবেষণার ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে, এক হাজার ১৮৬ জনের মতামতের ভিত্তিতে। যাদের বয়স ছিলো ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
এদিকে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ৮০ লাখ থেকে এক কোটি তরুণ ভোটার রয়েছে।
জরিপটি হয়েছে রাজধানীর ১০টি ও রাজধানীর বাইরের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। মোট ১২টি জেলায় গবেষণা পরিচালিত হয়।
এরমধ্যে বরিশালে অংশ নেন ৬৪ জন, যার মধ্যে বর্তমান সরকারকে চায় ৪৮ দশমিক চার শতাংশ; পরিবর্তন চায় ৩৪ দশমিক চার শতাংশ।
চট্টগ্রামে অংশ নেন ২০২ জন, যার মধ্যে বর্তমান সরকারকে চায় ৫৩ দশমিক পাঁচ শতাংশ; পরিবর্তন চায় ২৮ দশমিক সাত শতাংশ।
ঢাকাতে অংশ নেন ৩০৫ জন, যার মধ্যে বর্তমান সরকারকে চায় ৪৬ দশমিক ছয় শতাংশ; পরিবর্তন চায় ২৮ দশমিক দুই শতাংশ।
খুলনাতে অংশ নেন ৯৯ জন, যার মধ্যে বর্তমান সরকারকে চায় ৫১ দশমিক পাঁচ শতাংশ; পরিবর্তন চায় ৩৮ দশমিক চার শতাংশ।
ময়মনসিংহে অংশ নেন ৯১ জন, যার মধ্যে বর্তমান সরকারকে চায় ৭২ দশমিক পাঁচ শতাংশ; পরিবর্তন চায় ২০ দশমিক ৯ শতাংশ।
রংপুরে অংশ নেন ৯৯ জন, যার মধ্যে বর্তমান সরকারকে চায় ৫০ দশমিক পাঁচ শতাংশ; পরিবর্তন চায় ২৩ দশমিক দুই শতাংশ।
রাজশাহীতে অংশ নেন ১৭ জন, যার মধ্যে বর্তমান সরকারকে চায় ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ; পরিবর্তন চায় ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
সিলেটে অংশ নেন ৫৩ জন, যার মধ্যে বর্তমান সরকারকে চায় ৬২ দশমিক তিন শতাংশ; পরিবর্তন চায় ১১ দশমিক তিন শতাংশ।
কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক দাবি সরকারের মোকাবেলার প্রভাব নির্বাচনে পড়বে কিনা জানতে চাইলে গবেষক ড. আবুল হাসনাত মিল্টন বলেন, নিরাপদ সড়কের বিষয়ে সরকারের ওপর অসন্তুষ্ট দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ।
‘আর কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে অসন্তুষ্ট দুই দশমিক আট শতাংশ।’
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম উন্নয়ন চায়। তারা দুর্নীতিমুক্ত থাকতে চায়। তবে তরুণ ভোটারদের মধ্যে ৮০ শতাংশ রাজনীতি অপছন্দ করে বলে জানান তিনি।
গবেষক প্রতিষ্ঠানটির কোনো নিবন্ধন নেই। তবে নিবন্ধন নেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের এক গবেষক কাজী আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কলেরেডির চিফ অপারেটিং অফিসার আজাদ আবুল কালাম।