বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে এ বছর বিয়ের ধুম লেগেছে। ৮ মে সোনম কাপুর আর আনন্দ আহুজার বিয়ে নিয়ে হয়ে গেল মহা ধুমধাম। বলিউডের সবাই যখন ব্যস্ত সোনম কাপুরের বিয়ে নিয়ে, ঠিক তখনই প্রচারমাধ্যমের চোখ ফাঁকি দিয়ে ১০ মে চুপি চুপি বিয়ে করেন আরেক বলিউড তারকা নেহা ধুপিয়া। বর ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদির ছেলে অঙ্গদ বেদি। এবার রণবীর সিং আর দীপিকা পাড়ুকোনের বিয়ে নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে তাঁদের বিয়ের তারিখ নাকি নতুন করে চূড়ান্ত হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, এ বছরের ১৯ নভেম্বর তারিখকে বেছে নিয়েছে তাঁদের দুই পরিবার। কারণ সেদিন নাকি বিয়ের জন্য শুভলগ্ন আছে। আর সংবাদমাধ্যম তা জানতে পেরেছে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রণবীর সিং বলেন, ‘বিয়ে নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছি। বিষয়টি মাথায় আছে।’ আর পরে আরেকটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বিয়ে নিয়ে অযথা জল্পনা হচ্ছে। যদি দিনক্ষণ ঠিক হয়, তাহলে আমি নিজে ছাদে উঠে চিৎকার করে সবাইকে তা জানিয়ে দেব।’ বিয়ে নিয়ে রণবীর সিংয়ের উত্তেজনা তো জানা গেল, তবে বিয়ে নিয়ে এখনই কিছু বলতে চান না দীপিকা পাড়ুকোন।
আগে থেকে শোনা যাচ্ছিল, আগামী জুলাই মাসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন রণবীর সিং আর দীপিকা পাড়ুকোন। এ মাসেও বিয়ের জন্য শুভলগ্ন আছে। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, রণবীর সিং আর দীপিকা পাড়ুকোন দুজনই এই সময় তাঁদের পেশাগত কারণে ব্যস্ত থাকবেন।
রণবীর সিং আর দীপিকা পাড়ুকোনের সম্পর্কের শুরুটা হয় সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘গলিয়োঁ কি রাসলীলা রাম-লীলা’ ছবির কাজের সময়। তার আগে রণবীর কাপুরের সঙ্গে দীপিকার প্রেম নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যায়। রণবীর সিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কোনো লুকোছাপা করেননি দীপিকা। ফিল্মফেয়ার অনুষ্ঠানে তাঁরা দুজন একসঙ্গে হাত ধরাধরি করে হাজির হন।
এরপর রণবীর সিং বলেন, ‘যখন আমরা একসঙ্গে থাকি, তখন অন্য কিছুর প্রয়োজন পড়ে না। একসঙ্গে থাকলে নানা কথা হয়। আবার নীরবতাও বজায় থাকে। যা-ই থাকুক, সবটাই আমাদের নিজস্ব।’
এদিকে দীপিকা পাড়ুকোনের আগের প্রেমগুলো নিয়ে নতুন করে লেখালেখি হচ্ছে। জানা গেছে, বলিউডে এসে শুরুতেই নীহার পাণ্ডের প্রেমে পড়েন দীপিকা। বেঙ্গালুরুতে অভিনয়ের এক স্কুলে তাঁদের আলাপ। আর সেখান থেকেই প্রেম। মুম্বাইয়ে তখন দুজন এক ছাদের নিচেই থাকতেন। তিন বছর পর আলাদা হয়ে যান তাঁরা। নীহারের পর দীপিকার জীবনে আসেন মডেল ও অভিনয়শিল্পী উপেন প্যাটেল। উপেনের সঙ্গে এই বলিউড সুন্দরীর ভালোবাসার সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। এরপর দীপিকার জীবনে যুক্ত হন ভারতের ক্রিকেট তারকা যুবরাজ সিং। যুবরাজের প্রেমে পাগল ছিলেন হাজারো তরুণী। কিন্তু এই সুদর্শন ক্রিকেটার আবার দীপিকার রূপে মুগ্ধ ছিলেন। কিন্তু যুবরাজ-দীপিকার প্রেমের গাড়ি বেশি দূর এগোয়নি।
যুবরাজের আগে দীপিকার জীবনে আরও এক ক্রিকেট তারকা এসেছিলেন। তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি। ধোনি ও দীপিকা একাধিকবার ডেটে গেছেন। কিন্তু ওই সময় যুবরাজের আগমন হয় দীপিকার জীবনে। এরপর দীপিকার জীবনে আসেন প্রখ্যাত ব্যবসায়ী বিজয় মাল্যর ছেলে সিদ্ধার্থ মাল্য। দীপিকা সিদ্ধার্থের প্রেমে রীতিমতো পাগল ছিলেন। শোনা যায়, সিদ্ধার্থ তাঁর প্রেমিকাকে একটি ফ্ল্যাট উপহার দেন।
‘বাঁচনা এ হাসিনো’ ছবির শুটিংয়ে কাছাকাছি আসেন রণবীর কাপুর ও দীপিকা। দুজন প্রেমে রীতিমতো হাবুডুবু খেয়েছেন। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতেন। প্রেমের কথা লুকানোর চেষ্টা পর্যন্ত করেননি কেউ। দীপিকা তাঁর গলায় রণবীরের নামে ট্যাটু বানিয়েছিলেন। কিন্তু বছর দু-এক পর তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। দীপিকার কাছের বন্ধুদের মতে, রণবীর নাকি দীপিকাকে ধোঁকা দিয়েছিলেন।
দীপিকা খুব একা হয়ে যান। বারবার ভাঙনের ফলে নিরাশায় ডুবে যান দীপিকা। এই নিরাশার মাঝে তাঁর জীবনে আসেন রণবীর সিং।