স্পোর্টস ডেস্ক : নিদাহাস ট্রফিতে ভারতের কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরে গেলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ডময় জয়ে হারানো ছন্দ বেশ দাপটের সঙ্গেই পুনরুদ্ধার করেছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের ৩৫ বলে ৭২ রানের ঝড়ো ইনিংসে ২১৫ রানের পর্বতপ্রমাণ লক্ষ্যও টপকে গেছে অবলীলায়।
শুধু মুশফিকই কেন? ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের ২৯ বলে ৪৭ ও লিটন দাসের ১৯ বলে ৪৩ রানের বিষ্ফোরক ইনিংসও ঐতিহাসিক এই জয়ের জ্বালানি যুগিয়েছে।
এই যখন দলের অবস্থা তখন অবচেতন মনে একটি প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে, পারবে তো টাইগাররা? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওমন দাপুটে জয়ের ধারাবাহিকতা রোহিত শর্মাদের বিপক্ষেও ধরে রেখে টুর্নামেন্টের ফাইনালের পথ মসৃণ করতে? ঐতিহাসিক কিংবা রেকর্ডময় না হোক। জয় হলেই হবে।
সেই লক্ষ্য নিয়েই হয়তো বুধবার (১৪ মার্চ) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভারতকে মোকাবিলা করবে টাইগাররা।
কী হবে এই জয়ে? ফাইনালে চলে যাবে টাইগাররা? না, তেমন মনে করার কোন কারণ নেই। কেননা জয় ও হারের হিসেব কষতে গেলে লাল-সবুজকে সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৬ মার্চ নিজেদের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। ওই ম্যাচে স্বাগতিকরা জিতে গেলে তিন দলের পয়েন্টই সমান হবে (৪)। তখন আসবে রান রেটের হিসেব। সেখানে যারা শ্রেয়তর রান রেটে থাকবে তারাই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করবে।
তাই আপাতত ভারত বধই মামুদউল্লাহদের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিন্তু কাজটি কতটা সহজ হবে সেটাই এখন প্রধান বিবেচ্য বিষয়।
কেননা, নিজেদের শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের হেসে খেলেই হারিয়ে দিয়েছে ভারত। ১৫৩ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য টপকে গেছে ৪ উইকেটে খরচায়। হাতে ছিল আরও ১৫টি বল।
ঠিক এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলতে তাই হিসেবি এবং অলআউট ক্রিকেট খেলার কোনো ব্যতিক্রমই নেই। হিসেবি হবেন কারা? অবশ্যই বোলাররা। সেদিনের ম্যাচের মতো তাসকিন, মোস্তাফিজ, রুবেলদের রানের হাফ সেঞ্চুরি করলে চলবে না।