ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় বিস্ফোরণে দগ্ধ দীপ্ত সরকারও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। শুক্রবার সকাল নয়টা চল্লিশ মিনেটের দিকে তিনি মারা যান।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দীপ্তর বন্ধু হাফিজুর রহমান। সেখানে গত বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহীন মিয়া।
বাইশ বছর বয়সী দীপ্ত গত ছয় দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি ছিলেন।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, দীপ্তর শরীরের ৫৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
ভালুকার ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চার বন্ধুই একে একে মারা গেলেন।
নিহত চারজনই গত ছয়দিন আগে (২৪ মার্চ) ময়মনসিংহের ভালুকায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে তাওহীদুল ইসলাম বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
অপর তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
মেধাবী এই চার শিক্ষার্থীর সবাই বিভাগে মেধাতালিকায় প্রথম দিকে ছিলেন। দীপ্তের চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ঝরে গেলো চার মেধাবী প্রাণ।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন তারা চারজন। ভালুকায় স্কয়ার ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি কারখানায় ইন্টার্ন করতে আসেন চার সহপাঠী।
গত ১০ মার্চ তারা ওই কারখানার কাছে জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় আরএস টাওয়ার নামের একটি ছয়তলা ভবনের তৃতীয় তলায় বাসা ভাড়া নেন।
এদিকে পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েই তারা দগ্ধ হয়েছিলেন।
পুলিশ জানায়, ওই ভবনে আগে থেকেই তিনটি সিলিন্ডার রাখা ছিল; এর বাইরে অবৈধভাবে গাস সংযোগ নেয়া হয়েছিল। তৃতীয় তলার সিলেন্ডারটি সেই রাতে বিস্ফোরিত হয়।
ওই ভবনের মালিক ঝুট ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ।