স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) নিয়মিতই মাঠে দেখা যাচ্ছে তামিম ইকবাল ও মোস্তাফিজুর রহমানকে। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে এ পর্যন্ত সবগুলো (৩) ম্যাচই খেলেছেন মোস্তাফিজ। পেশোয়ার জালমিও তামিম ইকবালকে ছাড়া এ পর্যন্ত মাঠে নামেনি। অনেকে ভাবতে পারেন, পিএসএলে শুধু এ দুজন খেলোয়াড়ই বুঝি বাংলাদেশের প্রতিনিধি!
ভুল। আরও দুই খেলোয়াড় আছেন। কোয়েটা গ্লাডিয়েটরসের ফিল্ডিংয়ের সময় কাল অবশ্য একজনকে মাঠে দেখা গেছে। ওই ফিল্ডিং করা পর্যন্তই। নামের পাশে ‘অলরাউন্ডার’ তকমা থাকলেও কোয়েটার হয়ে ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ের সুযোগ পাননি। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের ১৩৪ রান তাড়া করে কোয়েটা জিতেছে ৬ উইকেটে। তাই ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ যেমন মেলেনি তেমনি দলটির বোলিং-আক্রমণও শক্তিশালী হওয়ায় হাত ঘোরাতেও পারেননি।
কিন্তু ইসলামাবাদকে স্বল্প রানে গুটিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে তাঁর কিছুটা হলেও অবদান রয়েছে। দলটির অধিনায়ক মিসবাহ-উল হককে মিড উইকেটে তালুবন্দী করেছেন। খেলা না দেখে থাকলে নিশ্চয়ই ভাবছেন সেই খেলোয়াড়টি কে? কোয়েটার হয়ে কালই ছিল তাঁর প্রথম ম্যাচ। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি পিএসএলে এর আগে দুই ম্যাচ খেললেও মাহমুদউল্লাহ মাঠে নামার সুযোগ পাননি।
মাহমুদউল্লাহ তবুও এক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেন। সাব্বির রহমানকে কেউ মাঠে দেখেছেন? চোট থাকায় সাকিব আল হাসানের বদলে তাঁকে দলে টেনেছে পেশোয়ার জালমি। তামিমও খেলছেন একই দলে। বাংলাদেশের এ ওপেনারকে ৩ ম্যাচেই খেলালেও সাব্বিরকে এখনো একাদশে বিবেচনা করেনি জালমি। অর্থাৎ পিএসএলে এখনো অভিষেকের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে সাব্বিরকে।
পিএসএলে তামিম তিন ম্যাচেই ‘শুরু’ ভালো করলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ১১, ৩৯, ১১ —এই তিন ইনিংস মিলিয়ে তাঁর মোট সংগ্রহ ৬১। সে তুলনায় মোস্তাফিজুর রহমান পিএসএল অভিষেকে মোটামুটি ভালোই করছেন। ৩ ম্যাচে এ পর্যন্ত তাঁর শিকার ৩ উইকেট।