Current Date:Nov 23, 2024

যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি শিশুকে ২৬ বার ছুরিকাঘাতে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ছয় বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান শিশুকে ২৬ বার ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ছুরি হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই শিশুর মা। খবর আল জাজিরার।

স্থানীয় সময় শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে শিকাগো থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার (৪০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি বাড়িতে আহত অবস্থায় ওই মা ও তার ছেলে শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ছয় বছরের ওই শিশুটিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা ও তার ৩২ বছর বয়সী মাকে গুরুতরভাবে আহত করার অপরাধে ৭১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন পুলিশ। হামলাকারীর বিরুদ্ধে হত্যা ও ঘৃণামূলক অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশের অভিযোগ, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া হিসাবে ও ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে ওই ব্যক্তি ছোট্ট শিশু ও তার মায়ের ওপর হামলা চালান।

কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) জানিয়েছে, নিহত শিশুর নাম ওয়াদেয়া আল-ফাইয়ুম ও তার মায়ের নাম হানান শাহিন। পরিবারটি দুই বছর ধরে একটি বাড়ির নিচতলায় বাস করত। সন্দেহভাজন ব্যক্তি তাদের বাড়িওয়ালা।

এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম জোসেফ কুবা। শনিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় ৭১ বছর বয়সী এই অভিযুক্তের কপালে কাটা দাগ ছিল।

পুলিশ জানায়, শনিবার বেডরুমে ঢুকে শিশু ওয়াদেয়া ও তার মা হানান শাহিনের ওপর হামলা চালান জোসেফ। আহত অবস্থায় কোনো রকমে ‘৯১১’ নম্বরে ডায়াল করেন হানান। পুলিশ এসে মা ও শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। সে সময় বাড়ির সামনেই নির্বিকার বসে ছিলেন জোসেফ।

গ্রেফতারের পর গোয়েন্দারা জোসেফকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ‘প্রতিশোধ’ নিতে এই হামলা চালান তিনি।

বেঁচে যাওয়া হানান শাহিন জানিয়েছেন, এর আগে জোসেফের মধ্যে ইসলাম বিদ্বেষী কোনো মনোভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। তবে শনিবার জোসেফ হঠাৎ করেই তাদের দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন। যখন হানান দরজা খুলে দেন, তখনই জোসেফ তাকে শ্বাসরোধ ও ছুরি দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করেন। এমনকি হামলাকারী সেসময় চিৎকার করে বলতে থাকেন, তোমাদের মুসলমানদের মরতে হবে।

Share