লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিশিষ্ট মনোবিদ অ্যাস্থার পেরেল জানান, দীর্ঘ সম্পর্কে একঘেয়েমি আসাটা খুব স্বাভাবিক। যৌনজীবনে অবসাদ চলে আসে। তখন অনেকেই নতুন সঙ্গী বা সঙ্গিনী খোঁজেন। এক্ষেত্রে একসঙ্গে সময় কাটানো, কথা বলা একটা বড় ওষুধ হতে পারে। আমি মনে করি যৌনতা যতটা না শারীরিক, তার চেয়ে অনেক বেশি মানসিক। মানসিক আকর্ষণ ফিরিয়ে আনলেও পরকীয়া ঠেকানো সম্ভব।
পরকীয়া ফাঁস! জেনে নিন যা করবেন
পরকীয়া করতে গেয়ে ধরা পড়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন! ভাবছেন কী করা যায়? তবে জেনে নিন যা করতে পারেন-
১. সম্ভব হলে প্রথমেই সমস্ত সত্যিকথা স্বীকার করে নিন। কিছু গোপন করার চেষ্টা করবেন না। কারণ সত্য চাপা থাকে না। যে কোন সময় বেরিয়ে আসবেই।
২. অবৈধ সম্পর্ক ধরা পড়লে পুরনো সঙ্গী মারাত্মক মানসিক আঘাত পান। তাই ক্ষমা চান আন্তরিকভাবে। যেহেতু দোষটা আপনার, তাই মাথা আপানকেই ঠান্ডা রাখতে হবে।
৩. শুধু সঙ্গী বা স্ত্রী’র কাছে কথা দিলে হবে না। নিজেকেও প্রতিশ্রুতি দিন, কোনো দিন অবৈধ সম্পর্কে জড়াবেন না। প্রলোভন আসতেই পারে। সেই ফাঁদে পা না দিলে নিজের ওপরেই শ্রদ্ধা বাড়বে।
৪. উত্তেজনার মুহূর্তে বলুন কম, শুনুন বেশি। কোনো সময়েই অন্যায় যুক্তি দিয়ে নিজের দোষ লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করবেন না।
৫. আপনি যে অনুতপ্ত, সেটা প্রতি মুহূর্তে বুঝানোর চেষ্টা করুন। মুখে নয় আপনার কাজকর্মের মাধ্যমে। ক্ষমা যে সহজে মিলবে না, সেটা বলাই বাহুল্য। তাই ধৈর্য হারাবেন না।
৬. তৃতীয় কোনো ব্যক্তির সঙ্গে নিজেদের তুলনা করবেন না। মনে রাখবেন, প্রতিটি সম্পর্কই একে অপরের চেয়ে আলাদা।