Current Date:Oct 6, 2024

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর চার প্রস্তাব

নিউজ ডেস্ক : জি-৭ জোটভুক্ত দেশসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়ে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবর্তনসহ চারটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (০৯ জুন) কুইবেকে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ লিডারস অধিবেশনে ওই চারটি প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী।

এগুলো হল- জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিজস্ব মাতৃভূমিতে সুষ্ঠু ও নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে তাগাদা দেওয়া, রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশনের সুপারিশগুলো এখনই শর্তহীনভাবে বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে তাগিদ দেওয়া, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিপীড়নের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহারে চালানো অমানবিক নিপীড়নে জড়িতদের জবাবদিহিতা ও বিচার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।

এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিপীড়নের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহারে চালানো অমানবিক নিপীড়নে জড়িতদের জবাবদিহিতা ও বিচার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জি-৭ জোটভুক্ত দেশসহ আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

অধিবেশনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে বলেন, আমি আগেও বলেছি আবারো বলছি, রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ মিয়ানমারে। মিয়ানমারকেই এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ চিহ্নিত করা এবং বারবার বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে ধেয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী ঢল থামাতে মিয়ানমার সরকারের উচিত কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা। এ ব্যাপারে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের আরো বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন, বিশেষ করে জি-৭ জোটভুক্ত দেশের কাছ থেকে।

এর আগে শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ১২টার দিকে কানাডার কুইবেকে লা মানোয়া রিশেলো হোটেলে আউটরিচ অধিবেশন শুরু হয়। সম্মেলন স্থলে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

Share