চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে চট্টগ্রাম নগরের ষোলোশহর রেলস্টেশনে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
একই দাবিতে আজ দুপুরে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, চট্টগ্রাম বিভাগের’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হওয়ার কথা।
ষোলোশহর রেলস্টেশনে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা ‘গেজেট প্রজ্ঞাপনে কত দেরি পাঞ্জেরি’, ‘আর নয় কালক্ষেপণ, জারি কর প্রজ্ঞাপন’, ‘আর কোনো দাবি নাই, কোটা বাতিলের গেজেট চাই’, ‘আর নয় ছল-চাতুরী, প্রজ্ঞাপন চাই তাড়াতাড়ি’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করছেন।
ষোলোশহর রেলস্টেশনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনের মধ্যেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী সব শাটল ট্রেনের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিনের বাঁশখালীর গ্রামের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানান।
সংগঠনের চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরমান উদ্দিন বলেন, ‘আমরা তিন মাস ধরে আন্দোলন করে আসছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোটা বাতিলের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তার বাস্তবায়ন চাই। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর এক মাস পার হলেও এখনও প্রজ্ঞাপন জারির কোনো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না। দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে সারা দেশের মতো আজ চট্টগ্রামেও আন্দোলন শুরু করেছি।’
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। এরপর আন্দোলনকারীরা কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন। পরে ৭ মে পর্যন্ত সময় দেন। সেই সময় শেষ হওয়ার পরও প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় গত বুধবার সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন করেন এবং আজ থেকে আবারও আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
অবশ্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল, সংরক্ষণ বা সংস্কারের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগির এই কমিটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।