স্পোর্টস ডেস্ক : ব্যাটসম্যান হিসেবে কোহলির বিকল্প তিনি নিজেই। প্রতি ম্যাচে নিজেকে নতুনভাবে চেনাচ্ছেন এই ব্যাটসম্যান। নেতৃত্বগুণেও নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিজে যাচ্ছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিতে রিকি পন্টিং ও ক্লাইভ লয়েডের উচ্চতায় নিজেকে বসালেন ভারতীয় অধিনায়ক।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার সময় ছোট একটা মাইলফলকের সামনে ছিলেন কোহলি। অধিনায়ক হিসেবে কোহলির একটি ৫০তম ওয়ানডে ম্যাচ ছিল। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নেতা হিসেবে ৩৯তম ম্যাচ জিতলেন। ৫০ ম্যাচে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এর চেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড নেই আর কারো।
৫০টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে এর আগে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ডটি ছিল রিকি পন্টিং ও ক্লাইভ লয়েডের। দুজনেই ৩৯টি করে ম্যাচে দেশকে জিতিয়েছেন। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কিংবদন্তি এ দুই ক্রিকেটারের পাশে নাম লেখালেন কোহলি। ১৪ জুলাই লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও যদি ভারত জেতে তাহলে সবাইকে ছাড়িয়ে যাবেন কোহলি।
অধিনায়ক হওয়ার পর কোহলির ব্যাটের ধারও বেড়েছে কয়েকগুণ। ওয়ানডেতে কোহলির গড়টা যেখানে প্রায় ৫৮, অধিনায়ক হিসেবে কোহলির গড়টা অবিশ্বাস্য ৮৪! অধিনায়ক হওয়ার পর ১৩ সেঞ্চুরি ও ১২টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেটটা প্রায় ১০০ ছুঁই ছুঁই। বোঝাই যাচ্ছে, নিজের ব্যাটিং পারফরম্যান্স দিয়েই ভারতকে একের পা ম্যাচ জিতিয়ে চলছেন ‘কিং কোহলি’।