স্পোর্টস ডেস্ক : নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল খেলার যোগ্যতা সবার আগে নিশ্চিত করে ভারত। শুক্রবার উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে লঙ্কানদের ছিটকে দিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ৷ আজ রবিবার প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলতে নামবেন সাকিবরা।
গত শুক্রবারের সেই ম্যাচে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যা ক্রিকেট ইতিহাসেও বিরল। সেই ঘটনার আবিষ্কারক বাংলাদেশের সাইড বেঞ্চে থাকা নুরুল হাসান সোহান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে দ্বাদশ খেলোয়াড় হয়েও ২৫ ভাগ জরিমানা, এক ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে তার নামের পাশে।
ম্যাচের ঠিক শেষ ওভারে গিয়ে সেই উত্তাপ শুরু হয়। ১৯ ওভারে ‘নো’ বল নিয়ে যখন আম্পায়ার আর বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বাকযুদ্ধ চলছিল তখন পানি নিয়ে অতিরিক্ত খেলোয়াড় কাজী নুরুল হাসান সোহান যান রিয়াদদের কাছে।
সোহানের মতে, ঝামেলাটা শুরু করে লঙ্কান অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। রিয়াদ ভাই নো বল না দেয়া নিয়ে আম্পায়ারের সাথে কথা বলছিল। আমিও সেখানে দাঁড়িয়েছিলাম। লেগ আম্পায়ারকে আমি জিজ্ঞেস করলাম দ্বিতীয় বল বাউন্স হলো কিনা। এতেই হঠাৎ পেরেরা বলে উঠলো এখানে তোমার কি কাজ। যাও!
থিসারা আমাকে গালি দিয়ে বলে এটা তোমার কাজ নয়। তখন আমিও তাকে বলছিলাম আমি আম্পায়ারের সাথে কথা বলেছি তোমার সাথে নয়। তুমি কেনো আমার সাথে উত্তেজিত হচ্ছ? এই বলে আমি চলে আসছি।
দলের ১২ নম্বর খেলোয়াড় হয়েও সোহান বুঝিয়ে দিলেন, আমরাও প্রতিবাদ করতে শিখে গেছি। যদিও এমন আচরণের জন্য এক ডিমেরিট পয়েন্টসহ ম্যাচ ফি’র ২৫% জরিমানা গুনতে হয়েছে সোহানকে। বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি একদিন অবশ্য মুখ ফসকে বলেই ফেলেন, সোহানের পুরো শরীরটাই কলিজা।