স্পোর্টস ডেস্ক : জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামানের তাণ্ডবে টিকতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইনআপ। দাপুটে ব্যাটিং করেন ৪ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তান পৌছে গেছে ১৮৪ রানের লক্ষ্যে। ৬ উইকেটের ফলে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দলটি নিজেদের সুনাম অক্ষুন্ন রাখলো সিরিজ জিতেই। আর একই সাথে গড়লো নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড।
হারারেতে রোববারের সিরিজের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ১৮৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দলীয় দুই রানেই দুটি উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরে পাকিস্তান। কিন্তু এক প্রান্ত দিয়ে দুই সতীর্থ নিরাশ করলেও হাল ছাড়েননি ফখর জামান। অপর প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে একের পর এক সীমানা ছাড়া করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের। তার দাপুটে ব্যাটিংয়ের সামনে রীতিমতো অসহায় ছিলো অস্ট্রেলিয়ার বোলিং ডিপার্টমেন্ট। এই ইনিংসের মাধ্যমে ফখর জামান যেন মনে করিয়ে দিয়েছেন গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জেতানোর কথা। যদিও এই ম্যাচটিতে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। মাত্র ৪৬ বলে ৯১ রানের ইনিংসে ছিলো ১২টি চার ও ৩টি ছক্কা।
অন্য প্রান্তে ফখরকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন সরফরাজ আহমেদ ও শোয়েব মালিক। সরফরাজ ২৮ রানে রানআউট হলেও শোয়েব মালিক ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ১৬তম ওভারের শেষ বলে কাভার পয়েন্ট ক্যাচ দিয়ে যখন ফকর জামান ফিরে যান, ততক্ষণে পাকিস্তান ম্যাচ পকেটে পুরেছে। এরপর বাকি কাজটুকু সাড়ার দায়িত্ব নিজ কাধে তুলে নেন শোয়েব মালিক। ফকর জামান যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন মালিক। ফকর আউট হওয়ার সময় তার সংগ্রহ ছিলো ২৮ বলে ২৭ রান। কিন্তু সঙ্গী ফিরে যাওয়ার পর নিজেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন মালিক। চার বল বাকি থাকতেই যখন জয় তুলে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন ব্যক্তিগত স্কোর তখন ৩৭ বলে ৪৩ রান। ৩টি চার ও একটি ছক্কা ছিলো মালিকের ইনিংসের।
এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই করেছিল অস্ট্রেলিয়া। উদ্বোধনী জুটি ডি’অর্কি শর্ট ও অ্যারন ফিঞ্চ গড়েছিল ৯৫ রান। কিন্তু নবম ওভারে শাদাব খানের বলে ফিঞ্চের আউটের পরই বিপত্তি বাধে। অর্ধশত থেকে তিন রান দুরে থাকতেই সাজঘরে ফিরেন ফিঞ্চ। এরপর ধারাবাহিক উইকেটের পতন হয়। বেশিক্ষণ এক প্রান্ত লাগলে রাখতে পারেননি শর্ট।
শর্ট ৭৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তরুণ শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে সাজঘরে ফেরেন। ৫৩ বলে সাতটি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা হাকান। এর আগে তাণ্ডব চালান সাদাব আর আমির। ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন সাদাব। আর আমির বিদায় করেন স্টোইনিসকে। আমির শিকার করেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পড়েন ফাহিম আশরাফ, হাসান আলি ও হাসান আলি। ৮ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১৮৩ রান।
সিরিজের অন্য দলটি ছিলো স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।