Current Date:Nov 28, 2024

আইনের প্রতি মানুষের আস্থা দিন দিন বাড়ছে : প্রধান বিচারপতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক : প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘২০১৭ সালে বাংলাদেশে সাত লাখ ৪২ হাজার ২৪৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এটি প্রমাণ করে যে, দিন দিন আইনের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে এবং বিচার পাওয়ার আশায় মানুষ আইনের দারস্থ হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘‘জেন্ডার, অধিকার ও মতপ্রকাশ : বড় শহরসমূহে ন্যায় বিচারে অভিগম্যতা’ শীর্ষক দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট।

প্রধান বিচারপতি বলেন, নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। নারীর প্রতি এই বৈষম্য রোধে আইন প্রয়োজন। আমাদের যথেষ্ঠ পরিমাণে আইনও রয়েছে। লিঙ্গ বৈষম্য রোধ এবং সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য এসব আইনের বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগতিসম্পন্ন মেগাসিটি। এখানে একদিকে যেমন সুযোগ সুবিধা রয়েছে তেমনি অন্যদিকে মানুষ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের আইনি সহায়তা প্রদান করার জন্য সরকার বিভিন্ন সংস্থায় অর্থায়ন করছে। ২০১৭ সালে ৬৬ হাজার ৬ শত ৪৪ জনকে সরকারি অর্থায়নে আইনি সহায়তে দিয়েছে লিগ্যাল এইড। এর মধ্যে ২৯ হাজার ৮৮২ জন হলো নারী। নারীর বৈষম্য রোধে এটি একটি প্রশংসনীয় কাজ।

ভারতের উড়িষ্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শ্রীকৃষ্ণ রাও বলেন, গরিব লোকেরা সবসময় আইনকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে। তাদের আইনের সহায়তা নিতে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করা যায় সেটি আমাদের বিবেচনা করতে হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকদের আইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ না দিলে তারা আইন থেকে দূরে সরে যাবে। ফলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ বলেন, শহর ও গ্রামে নারীরা অনেক ধরনের সমস্যা ও বাধার মুখোমুখি হয়। তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আইনের শিক্ষার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন আজ তিনটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে সার্বিক সহযোগিতা করেছে কিংডম অব নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বাসি। সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম বিকেল ৪টায় শেষ হয়।

Share