স্পোর্টস ডেস্ক : মাশরাফি বিন মুর্তজার এই থাম্বজ-আপ দেয়া ছবিটা হয়তো বলে ওঠে, আমার কাজ শেষ এবার যাবার পালা। হ্যাঁ, তিনি চলেই যাবেন ড্রেসিং রুম ছেড়ে। ক্যারিবীয় দ্বীপ কিংবা ফ্লোরিডায় তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের ড্রেসিং রুমে তিনি থাকছেন না।
টি-টোয়েন্টি থেকে তাঁর হঠাৎ অবসরটা কোটি ভক্তের একটা দীর্ঘশ্বাস হয়েই থাকবে। যে দলটা সফরের শুরুতে দুই টেস্ট হেরে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর শক্তি খুঁজে পাচ্ছিল না, সেই দলটাকে এতো দ্রুত কিভাবে পালটে দিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা!
গায়ানায় তিন ওয়ানডের প্রথম ম্যাচ জয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া। পরের ম্যাচে জয়ের ঠিক কাছে গিয়ে হেরে যাওয়া। এই হারে সেদিন মোটেও ভেঙে পড়েনি বাংলাদেশ।
সিরিজ ১-১ এ ড্র হওয়ায় সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটা তাই ফাইনাল। এই ম্যাচেও টাইগারদের বাজিমাৎ। ১৮ রানের জয়ে দীর্ঘ নয় বছর পর বিদেশের মাটিতে সিরিজ জয় বাংলাদেশের।
টেস্ট সিরিজটা হতাশায় পার হলেও ওয়ানডে সিরিজটা দুর্দান্ত। বাকি রইলো আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ সেন্ট কিটসে ১ আগস্ট। পরের দুটি ৫ ও ৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়।
মাশরাফির মনটা হয়তো ঠিকই পড়ে থাকবে সাকিবদের কাছে। নিজে না খেললেও আশা করেন ভালো কিছুর।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বলেন- ক্রিকেট পুরোটাই মনস্তাত্ত্বিক খেলা। এখানে যে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকবে তারাই জিতবে। দ্বিতীয় ম্যাচ হেরেও আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি ঠিকই। এখন সময় তরুণদের সেরাটা দেয়ার। আশা করি, টি-টোয়েন্টিতেও ভালো খেলবে বাংলাদেশ। ভালো খেলতেই হবে, কেননা ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টির জন্য সেরা একটা দল।