লাইফস্টাইল ডেস্ক: অনেক দেশেই তেলাপোকা খাওয়া হয়। তেলাপোকার দুধ দিয়ে সকালের নাস্তা? শুনেই অবাক হচ্ছেন। তবে ঘটনা কিন্তু সত্যি। তেলাপোকার দুধকে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ পরবর্তী ‘সুপারফুড’ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা যাচ্ছে, তেলাপোকার দুধ আপনার জন্য হতে পারে বিশেষ উপকারী – কারণ এতে গরুর দুধের চেয়েও অনেক বেশি শক্তি রয়েছে। রয়েছে অনেক বেশী অ্যামিনো অ্যাসিড।
তেলাপোকার পেট কেটে দুধ সংগ্রহ করার চিন্তা করাই প্রায় অসম্ভব। খবর বিবিসি বাংলা।
যেমনটা সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন। প্যাট পার্কিন্স টুইট করেছেন, “প্লিজ, তেলাপোকার দুধ যেন বাস্তবে পরিণত না হয়।”
জেডি প্যান্টস মন্তব্য করেছেন, “আমার ১৫ ফুটের মধ্যে কেউ যদি ‘তেলাপোকার দুধের’ কথা চিন্তাও করে তাহলে আমার এমন প্যানিক অ্যাটাক হবে যে সেটা (ভূমিকম্প মাপার) রিখটার স্কেলে দেখা যাবে।”
কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে যেসব চ্যাট চলছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, তেলাপোকার দুধ কিভাবে সংগ্রহ করা হয়?
এই দুধ সংগ্রহ করা হয় তেলাপোকার একটি বিশেষ জাত -প্যাসিফিক বিট্ল ককরোচ থেকে।
এই তেলাপোকা ডিম পাড়ে না। এরা বাচ্চা দেয় এবং এর দেহে দুধ তৈরি হয়।
তবে এই দুধ তরল আকারে থাকে না। তাই ‘দুধ দোয়ানোর’ কোন ব্যাপার থাকে না।
বিজ্ঞানীরা তেলাপোকার পেট কেটে তার মধ্য থেকে স্ফটিক আকারে থাকা এই দুধ সংগ্রহের কথা বলছেন।
তেলাপোকার দুধ নিয়ে গবেষণা করছে যেসব বিজ্ঞানী তাদের একজন হলেন ড. লিওনার্ড শ্যাভাজ।
তিনি জানাচ্ছেন, বাণিজ্যিকভাবে তেলাপোকার দুধ সংগ্রহ করতে হলে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি ব্যাখ্যা করছেন, প্রতি ১০০ গ্রাম দুধের জন্য আপনাকে ১০০০ তেলাপোকা হত্যা করতে হবে। “তবে এই দুধ দিয়ে আইসক্রিম তৈরির মনেও আনবেন না,” বলছেন তিনি।
বিশ্বের অনেক দেশেই খাদ্য হিসেবে তেলাপোকা বেশ জনপ্রিয়।
পূর্ব এশিয়ায় ভ্রমণে গিয়ে অনেকেই স্ট্রিট ফুড হিসেবে ভাজা তেলাপোকার স্বাদ নিয়েছেন।
চেখে দেখেছেন তেলাপোকার কাবাব।
তাই ভবিষ্যতে আপনার খাবার টেবিলে তেলাপোকার দুধ পরিবেশন করা হবে না, একথা হলফ করে বলা যায় না।