বিনোদন প্রতিবেদক : বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় ‘সুলতান’নামে একটি ছবির বেশিরভাগ শুটিং শেষ হবার পর এখন ছবিটি সাফটা চুক্তির আওতায় আমদানিকৃত ছবি হিসেবে ঈদে বাংলাদেশে মুক্তি দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কিছুদিন আগে জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া ও ভারতের জিৎস ফিল্ম ওয়ার্কস, সুরিন্দর ফিল্মস যৌথভাবে নির্মাণ করছে ‘সুলতান’। এরই মধ্যে সিনেমাটির শুটিং, ডাবিং ও সম্পাদনার কাজ শেষ হয়েছে।
এমনকি এর গান ও টিজারও প্রকাশ করা হয়। গত ২৪ এপ্রিল ‘সুলতান’ সিনেমাটি বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার নীতিমালায় চিত্রনাট্য প্রিভিউ কমিটির কাছ থেকে অনুমোদনও পায়। সম্প্রতি জিৎ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ-এ এই ছবিটির শুটিং শেষ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ করেই শোনা যাচ্ছে, সাফটা চুক্তির আওতায় আমদানিকৃত ছবি হিসেবে বাংলাদেশে ‘সুলতান’মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটির শুটিং শেষ করলেও এখন আর ‘সুলতান’সিনেমার সঙ্গে থাকছে না বাংলাদেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। এ জন্য গত ৭ মে যৌথ প্রযোজনার প্রিভিউ কমিটি বরাবর একটি আবেদনও করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, আগামী ঈদে দুই বাংলায় একসঙ্গে মুক্তির প্রস্তুতি চলছে ‘সুলতান’ও ‘ভাইজান এলো রে’নামের দুটি সিনেমা। এই দুটি ছবিরই নির্মাণ প্রায় শেষের পথে।
কিন্তু চলতি সপ্তাহেই ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিটি নির্মাণ করার অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছেন জয়দীপ মুখার্জি। যে ছবির নির্মাণ শেষের পথে সেই ছবি নির্মাণের অনুমতি চেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন নির্মাতা জয়দীপ। অন্যদিকে যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণ শেষ করার পর এখন ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র হিসেবে বাংলাদেশে মুক্তি দেয়ার চেষ্টায় সমালোচনার মুখে পড়েছে ‘সুলতান’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন বলেন, ‘সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র হিসেবে ‘ভাইজান এলো রে’এবং ‘সুলতান’ছবি দুটি মুক্তি পেতে পারে। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী ঈদের সময় যদি দেশীয় একাধিক ছবি মুক্তির তালিকায় থাকে, তবে বিদেশি ছবি আমদানি করা যাবে না।’
সিনেমা দুটি ভারতীয় ছবি হিসেবে বাংলাদেশে মুক্তি পাবে কিনা? তা নিয়ে নড়চড়ে বসেছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। জটিলতা কাটিয়ে ‘ভাইজান এলো রে’ও ‘সুলতান’ ছবি দুটি মুক্তি পাবে কিনা সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।