স্পোর্টস ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মুহূর্তে ঝড় তুলেছে ‘নাগিন ড্যান্স’। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে জয়ের পর এ ‘নাগিন ড্যান্স’ যেন পায় বাড়তি মাত্রা। পুরো দল এক সঙ্গে নাগিন ড্যান্সে মেতে উঠে। এই উদযাপনে বাদ যাননি দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনও।
এর আগে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কা বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে জয়ের পর নাগিন ড্যান্স দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিমও। মুহূর্তেই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
তবে এই নাগিন ড্যান্সের শুরুটা করেন বাংলাদেশি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের হয়ে উইকেট পেয়ে নাগিন ড্যান্সের বুনো উল্লাসে মেতে উঠেন তিনি। তার এক একটা উইকেট প্রাপ্তি মানেই নাগিন নৃত্যের প্রদর্শনী। তারপর বাংলাদেশের জয় ও সাফল্য উদযাপনের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে এই নাগিন নৃত্য। তবে অপুই হচ্ছেন আসল ‘নাগিন’। কারণ শুরুটা যে তিনিই করেছিলেন।
যদিও টাইগার ভক্তরা মনে করছেন, এই নাগিন নৃত্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে অবিচারের প্রতিবাদ, ব্যঙ্গ করার প্রতিশোধ। কারণ সিলেটে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হারানোর পর ব্যঙ্গ করে সেই ড্যান্স দিয়েছিলেন লঙ্কান ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা। সেই ব্যঙ্গের জের যে এখনও রয়ে গেছে সেটা বোঝা যায় নিদাহাস ট্রফিতে লঙ্কানদের মাটিতে লঙ্কানদের হারানোর পর মুশফিকের উদযাপনে।
ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে শুক্রবার রাতে মুশফিকের ক্যাচ নিয়ে আবারও সেই উদযাপনে মেতে উঠেন আরেক লঙ্কান ক্রিকেটার। একই সঙ্গে তাতে যোগ দেয় স্টেডিয়ামের লঙ্কান সমর্থকরা। পরে ‘নো’ বল না দিয়ে আম্পায়ারের অবিচার। সবকিছু ছাপিয়ে মাহমুদুল্লাহ’র সেই জয়সূচক ছক্কা। তারপর টিম বাংলাদেশ মিলে নাগিন ড্যান্সে মেতে উঠা। নিদাহাস ট্রফি শেষে নাগিন ড্যান্স টাইগারদেরই উদযাপনের ব্র্যান্ড হয়ে থাকলো।