Current Date:Nov 1, 2024

কোটা আন্দোলনে ‘অপপ্রচারের’ মামলায় প্রতিবেদন ৮ আগস্ট

আদালত প্রতিবেদক : সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে উস্কানিমূলক অপপ্রচারের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদন দেয়নি পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে আগামী ৮ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিনি প্রতিবেদন দিতে না পারায় নতুন তারিখ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব।

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে নানা সময় আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে গত ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে। তবে এবার কোনো বিশেষ কোটার কথা না বলে সব সংস্কারের দাবি সামনে আনা হয়েছে। আর ৫৬ শতাংশ থেকে কোটা কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে।

দুই মাস নানা কর্মসূচি পালনের পর ৮ এপ্রিলে আন্দোলনকারীরা রাজধানীর শাহবাগ এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।

এই সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয় ফেসবুকে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনে ব্যাপক হামলা ও লুটপাট চালানো হয়।

ফেইসবুকে পাশাপাশি পেইজ ও গ্রুপের পাশাপাশি ইউটিউব, টুইটার, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ব্লগ, ওয়েবসাইটে নানা উস্কানিমূলক অপপ্রচারও চলে সে সময়।

আর এই অপচেষ্টাকারীদের পর্যবেক্ষণ শুরু করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যানশাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ।

তিন দিন পর ১১ এপ্রিল কাউন্টার টেরোরিজমের পুলিশ পরিদর্শক এসএম শাহজালাল রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলাটি করেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধিত) ২০১৩ এর ৫৭(২)/৬৬ ধারায় করা মামলাটিতে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।

ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্যে গত ১১ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন কোনো কোটাই থাকবে না।

এই ঘোষণায় সময় পরিস্থিতি শান্ত হলেও সম্প্রতি আবার অশান্ত হয়ে উঠেছে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে আবার আন্দোলন শুরুর চেষ্টায়।

গত ২৭ জুন প্রধানমন্ত্রী সংসদে আবার জানান, কোটা থাকছে না। তবে একই রাতে কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ খাঁন ফেসবুক লাইভে এসে জানান, তার রক্ত গরম হয়ে গেছে। তিনি কঠোর আন্দোলনে নামতে আবার আহ্বান জানান ছাত্রদের। সেই সঙ্গে বলেন, ‘মনে হয় এটা তার বাপের দেশ।’

আর এই কটূক্তি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে করা হয়েছে অভিযোগ করে রাশেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক ছাত্রলীগ নেতা। সেই সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারী সংগঠনের নেতাদেরকে দেয়া হয় পিটুনি।

 

Share