নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস চাওয়া ও আপিলসহ আরো চারটি আবেদনের ওপর আজ রোববার (৮ জুলাই) শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। হাইকোর্টের কার্যতালিকায় মামলাটি ১৩ নম্বরে রাখা হয়েছে।
শনিবার (৭ জুলাই) খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান এমন তথ্য নিশ্চিত করেন।
খালেদা জিয়ার আপিল ছাড়াও অন্য তিন আবেদন হলো খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদন (রিভিশন), একই মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি কাজী সলিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমদের করা পৃথক দুটি আপিল।
ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান বলেন, ‘রবিবার (৮ জুলাই) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল, এই মামলার আরও দুই আসামিতর পৃথক দুই আপিল এবং দুদকের রিভিশন আবেদনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের কজ লিস্টে (কার্যতালিকা) মামলাটি ১৩ নম্বরে রাখা হয়েছে। এদিন দুপুর ২টায় এসব আবেদনের ওপর শুনানি হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘চারটি আবেদনের শুনানি ছাড়াও খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়েও ওই দিন (৮ জুলাই) আবেদন জানানো হবে।’
উলেখ্য, গত ২১ জুন হাইকোর্টের ৫৮টি বেঞ্চ পুনর্গঠন করেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে বিচারপতি সহিদুল করিমকে অন্য একটি বেঞ্চে যুক্ত করা হয়। পাশাপাশি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের সঙ্গে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে যুক্ত করা হয়। এছাড়াও পুনর্গঠিত এই বেঞ্চে দুদকের মামলার শুনানির ক্ষমতা বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কে. এম. হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রদান করা হয়।
ফলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার খালাশ চেয়ে করা আপিল আবেদন ব্যাতিত তার (খালেদা জিয়া) সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের রিভিশন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ।
দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে করা আমাদের (দুদক) আবেদন হাইকোর্ট শুনতে অপারগতা প্রকাশ করে দুদকের মামলার জন্য নির্ধারিত বেঞ্চে শুনানি করতে বলেন। কিন্তু আমরা উভয়পক্ষের আবেদন একসঙ্গে শুনানি করতে চেয়েছি। তাই এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাই। এর পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের সঙ্গে আমাদের রিভিশন আবেদন ও অন্য দুই আসামির পৃথক দুটি আপিল আবেদন একসঙ্গে শুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন সেখানেই আছেন।