নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদনের ওপর আগামীকাল সোমবার আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ।
রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের নিয়মিত আপিলের আবেদনের (লিভ টু আপিল) শুনানি হয়।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং খাদেলা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী।
আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আপিল বিভাগ থেকে জামিন পেলেও শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া। কারণ কুমিল্লার একটি নাশকতার মামলায় খালেদা জিয়াকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (পিডব্লিউ) দেখানো হয়েছে।
আগামী ২৮ মার্চ ওই মামলায় তাকে হাজির করার জন্য কারাগারে এ সংক্রান্ত হাজিরা পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওই মামলায় জামিন না হওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না।
হাইকোর্ট ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। আদেশে আদালত বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স, শারীরিক অসুস্থতা, সাজার পরিমাণ, নিয়মিত বিচারিক আদালতে হাজিরার বিবেচনায় জামিন মঞ্জুর করা হল।
একই সঙ্গে আগামী চার মাসের মধ্যে মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন আদালত। হাইকোর্ট বলেন, পেপার বুক প্রস্তুত হলে যে কোনো পক্ষ শুনানির জন্য আপিল উপস্থাপন করতে পারবে।
১৩ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই দিন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর জামিন আদেশ স্থগিত না করে আবেদন দুটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। হাইকোর্টের দেয়া আদেশ ১৪ মার্চ আপিল বিভাগ ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন এবং ওই সময়ের মধ্যে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করার নির্দেশ দেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. আক্তারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায়ের পর থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।