নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আজ বুধবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান আদালতে হাজির হয়েছেন।
আদালতের আশপাশের রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আশপাশের দোকানপাটও বন্ধ রাখা হয়েছে। র্যাব ও পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর থেকে তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। প্রায় সাত সপ্তাহ পর আজই প্রথম তিনি কারান্তরাল থেকে বাইরে আসতে পারেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যে আদালত তাঁকে দণ্ডিত করেছেন, সেই আদালতেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে।
আজ এ মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। মামলার আসামি জিয়াউল ইসলাম মোন্নার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুনানি হওয়ার কথা। দুদক এরই মধ্যে এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে।
১৩ মার্চ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ মামলার পরবর্তী তারিখে খালেদা জিয়াকে হাজির করার জন্য হাজিরা পরোয়ানা (প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট বা পিডব্লিউ) জারির প্রার্থনা করেছিল। আর আসামিপক্ষের নিবেদন ছিল, অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ তামিল না হওয়া পর্যন্ত চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় পিডব্লিউ জারি না করে মামলার তারিখ এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার এবং ওই সময় পর্যন্ত খালেদার জামিন বহাল রাখার।
দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে সেদিন আদালত আদেশে বলেছিলেন, ‘২৮ ও ২৯ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য থাকল। ওই তারিখে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার জন্য পিডব্লিউ জারি করা হবে।’ সে অনুযায়ী আদালতের জারি করা পিডব্লিউ কারাগারে গেছে বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ আছে। মামলার কার্যক্রম চালানোর জন্য খালেদা জিয়ার উপস্থিতি দরকার। তাই কারাগার থেকে তাঁকে আদালতে হাজির করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।