নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন বলে জানিয়েছেন কারাগারে তাঁর নিয়মিত চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করছেন, তিনি আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন।
গত বুধবার দুপুরে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসনের অসুস্থতা গোপন করা হয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। তাঁর সুচিকিৎসা প্রয়োজন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা ছিল। কিন্তু বেলা দুইটার দিকে সাক্ষাৎ হচ্ছে না বলে জানান চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তারা। চেয়ারপারসনের অসুস্থতার কারণে এই সাক্ষাৎ হচ্ছে না বলেও জানান তাঁরা।
কারাগারে খালেদা জিয়ার নিয়মিত চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বয়স ৭৩ বছর। এই বয়সে তো কিছু সমস্যা থাকেই। এ ছাড়া আগে থেকেই খালেদা জিয়া ব্যাক পেইন, হাঁটুতে ব্যথা ও আর্থাইটিসে ভুগছেন। সেই সমস্যাগুলোর কারণে মাঝেমধ্যেই শরীর খারাপ হতে পারে। তা ছাড়া হাঁটুতে অপারেশন ছিল আগে থেকেই। কিন্তু যেমন বলা হচ্ছে, তেমন কোনো অসুস্থতা নেই। আমরা সার্বক্ষণিক তাঁর খবর রাখছি। তাঁর সুচিকিৎসা চলছে। তিনি যখনই ডাকেন, আমি ছুটে যাই। আমি আজও দেখে এসেছি। খালেদা জিয়ার বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই। আমরা চেষ্টা করি নিয়ম মেনে তাঁর খাওয়াদাওয়া, দেখভাল করতে। তাঁর নিয়মিত চেকআপও চলছে। নিয়মের মধ্যে থেকে আমরা তাঁর যা যা প্রয়োজন তা করছি।’
দুর্নীতির দায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেন আদালত। রায় ঘোষণার পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন তিনি।
এ মামলায় জামিন চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবীদের করা জামিন আবেদনের শুনানির সময় খালেদা জিয়া অসুস্থতার বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করেছেন তাঁরা। যদিও মামলার বাদীপক্ষ দুর্নীতি দমন কমিশন ও রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে বলেছেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ, এমন কোনো কাগজপত্র তাঁর আইনজীবীরা আদালতে দাখিল করেননি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘কারা অধিদপ্তর থেকে আজ জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়া কারা কর্তৃপক্ষকে বলেছেন তিনি অসুস্থতা অনুভব করেছিলেন। এরপর সিভিল সার্জনকে বলা হয়েছে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করেননি।’ প্রথম আলো