Current Date:Oct 3, 2024

গাজায় হামলা চালাতে ব্রিটিশ অস্ত্র!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের কাছে ব্রিটেনের অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ রেকর্ডপর্যায়ে পৌঁছেছে। ক্যাম্পেইন এগেইনস্ট আর্মস ট্রেডের পরিসংখ্যানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ইসরাইলের কাছে অস্ত্র রফতানিকারী কোম্পানিগুলোকে গত বছর ২২ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড সমমূল্যের লাইসেন্স দিয়েছে ব্রিটেন। এর মধ্য দিয়ে ব্রিটেনের অস্ত্র বিক্রেতা কোম্পানিগুলোর জন্য ইসরাইল অষ্টম সর্ববৃহৎ বাজারে পরিণত হয়েছে।

ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স উইলিয়াম আগামী মাসে ইসরাইল সফরে যাচ্ছেন- খবরটি নিশ্চিত হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় নতুন এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হলো। ব্রিটিশ সরকারের এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৪ সালের যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হয় এমন ১২টি অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করেছে ব্রিটেন। ২০১০ সালে সে সময়কার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড বলেছিলেন, ‘অনেকটা নিশ্চিতভাবেই’ বলা যায়, গাজায় হামলা চালাতে ব্যবহৃত ইসরাইলি সরঞ্জামাদি যুক্তরাজ্যের সরবরাহকৃত।

ক্যাম্পেইন এগেইনস্ট আর্মস ট্রেডের নতুন পরিসংখ্যান বলছে, ইসরাইলের কাছে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ আগের রেকর্ডগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। ইসরাইলের কাছে অস্ত্র রফতানিকারী কোম্পানিগুলোকে গত বছর ২২ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড সমমূল্যের লাইসেন্স দিয়েছে যুক্তরাজ্য, যা আগের বছরের চেয়ে অনেক বেশি। ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড। তারও আগের বছর এর পরিমাণ ছিল ২ কোটি পাউন্ড। গত পাঁচ বছরে ইসরায়েল যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ৩৫ কোটি ডলারেরও বেশি মূল্যের অস্ত্র কিনেছে।

ব্রিটিশ অস্ত্র রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইসরাইলে রফতানির জন্য গত বছর যে লাইসেন্সগুলো দেয়া হয়, তার মধ্যে আছে- ছোট অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র, অস্ত্র পর্যবেক্ষণকারী যন্ত্র এবং স্নাইপার রাইফেল। ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্য যেসব লাইসেন্স ইস্যু করেছিল, তার মধ্যে আছে- অস্ত্রবিধ্বংসী গোলা, বন্দুক, ক্ষেপণাস্ত্র উপকরণ, গ্রেনেড লঞ্চারের উপকরণ এবং দাঙ্গা প্রতিরোধব্যবস্থা।
যুক্তরাজ্য ইসরাইলকে ঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে। তবে সম্প্রতি কয়েকটি বড় বড় ইস্যুতে যুক্তরাজ্যকে প্রকাশ্যে ইসরাইলের সমালোচনা করতে দেখা গেছে।

অবরোধকারী চার আরব দেশের পণ্যে কাতারের নিষেধাজ্ঞা
এএফপি
সৌদি আরবের নেতৃত্বে এক বছর আগে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপকারী চার আরব দেশ থেকে পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে দোহা। এসব দেশের পণ্য বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। শনিবার কাতার কর্তৃপক্ষ আরব দেশগুলোর পণ্যের ওপর এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ২০১৭ সালের ৫ জুন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এতে করে কাতার জল, স্থল ও আকাশপথে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

দোহার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার অভিযোগ এনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে এ অবরোধ আরোপ করা হয়। যদিও কাতার এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দোহা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কাতারে সরকার পরিবর্তনের জন্য আরব দেশগুলো এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। শনিবার কাতারের অর্থ মন্ত্রণালয় সৌদি নেতৃত্বাধীন চার দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা অবরোধ আরোপ করে। এসব দেশের পণ্য সরিয়ে নিতে দোকানদারদের নির্দেশ দেয়া হয়। তারা সে নির্দেশ পালন করছে কি না তা তদারকি করতে পরিদর্শকেরা দোকান পরিদর্শন করবেন বলেও মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। পাশাপাশি তৃতীয় দেশ হয়ে সৌদি আরবের দুগ্ধজাত কোনো পণ্য যেন কাতারে প্রবেশ না করতে পারে সে ব্যবস্থাও নেয়ার চেষ্টা করছে সরকার।

উল্লেখ্য, গত বছর সৌদি নেতৃত্বাধীন দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য কাতারকে কয়েকটি শর্ত বেঁধে দিয়েছিল। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে, আলজাজিরা নিউজ চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া, কাতারের মাটি থেকে তুর্কি সেনা বহিষ্কার, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক কমিয়ে আনা এবং মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। কিন্তু কাতার এসব দাবির কাছে নতি স্বীকার না করে ঘোষণা করে, আরব দেশগুলো কাতারের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হেনেছে।

কাতার আগে খাদ্য আমদানির জন্য উপসাগরীয় দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু আরব দেশগুলোর অবরোধ আরোপের পর দেশটি তুরস্ক, মরক্কো ও ইরান থেকে খাদ্য আমদানি শুরু করে।

Share